তারেকের বিশেষ অনুরোধে নড়েচড়ে বসেছে গয়েশ্বর

আরেক কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হচ্ছে সেই আলোচিত সংলাপ। রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষের চোখ এখন গণভবনের দিকে। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শুরু হচ্ছে এ রাজনৈতিক সংলাপ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপিতে তারেকপন্থী হিসেবে পরিচিত। সব সময় তিনি ঐক্যফ্রন্ট এবং সংলাপের বিপক্ষে অবস্থান করেছিলেন। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রাথমিক ভাবে বিএনপির যে পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল সেখানেও ছিল না গয়েশ্বরের নাম। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাশাপাশি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাসের নাম আগের তালিকাতেই জানানো হয়েছিল।
তবে তার একজনকেও তারেক জিয়া বিশ্বাস করতে পারছেন না। তারা বৈঠকের আসল খবর দিবে কিনা কিংবা প্রথম দফাটাকে আড়ালে রেখে কোন সমঝোতায় আসবেন কিনা। সেই শঙ্কা আছে তারেকের। এইজন্যই গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এই বৈঠকে বিশেষভাবে পাঠানো হয়েছে। যেন ওখানে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর- মওদুদ গংরা কোন সমঝোতা না করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আরও পাঁচজন।
আগের ১৬ জনকে মিলিয়ে নির্বাচন সামনে রেখে এই সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা ২১ জনে দাঁড়াল। বিএনপির মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়াও গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহর নাম রয়েছে নতুন তালিকায়।
এমএ