ঢাকা শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২


যে কারণে নৈশভোজে অনীহা ঐক্যফ্রন্টের


১ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:৫৩

ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসছে ড. কামাল এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ ঐক্যফ্রন্টের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে বহুল কাঙ্ক্ষিত এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। তবে সংলাপে সম্মত হলেও নৈশভোজে অনীহা প্রকাশ করেছেন তারা।

হঠাৎ করে কেন নৈশভোজে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের অনীহা তা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। বিএনপি নেতাদের মতে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এই নৈশভোজে অংশ নেবে না। অপর দিকে খাবারের মেন্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অতি বাড়াবাড়ি হওয়ায় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা নৈশভোজে আগ্রহী নন। ইতোমধ্যে নৈশভোজে নিজেদের অনাগ্রহের কথা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে থাকা গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু। ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের নেতা ও ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য মমিনুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মূলত বিএনপির কথায় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গণভবনে নৈশভোজ করবেন না। দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপি গণভবনে নৈশভোজ চায় না বলে বিএনপির একটি সূত্র জানায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির শীর্ষ এক নেতা বলেন, নৈশভোজ করে আনন্দিত হওয়ার সময় নয় এটি। আমাদের নেত্রী কারাগারে। এমন সময় আমরা গণভবনে গিয়ে নৈশভোজ করে সন্তুষ্টির ঢেকুর গিলতে পারি না।

নৈশভোজ না করার পেছনে কারণ হিসেবে নাগরিক ঐক্যের নেতা মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য সংলাপ। বিএনপিও বলেছে নৈশভোজ চায় না৷ আমরাও চাই না। সংলাপে তো এখন গণহারে যাচ্ছে৷ তারা তো এতদিন প্রধানমন্ত্রীর পাশেই ছিলো৷ সংলাপ করেনি কেন? আমরা সংলাপের প্রস্তাব দেয়ার পর সবাই সংলাপে যাচ্ছে। এটি তো সংলাপ নিয়ে ফাইজলামি। এছাড়া পত্রপত্রিকা খাবারের মেনু নিয়ে যা হলো তা তো হাস্যকর। যেন আমরা দাওয়াত খেতে যাচ্ছি! এজন্য এই সিদ্ধান্ত। আমরা আমাদের কায়দায় থাকছি।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এ ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত নিলে ভালো মনে করি৷ সংলাপে বসা হবে, কথা হবে, আলাপ আলোচনা হবে। নৈশভোজ তো মুখ্য নয়। আলোচনার সময় বাঁচানোর জন্য ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ববৃন্দ সবাই মিলে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ভালো সিদ্ধান্ত মনে করি।’

আরকেএইচ