রায়েরবাজার উন্নয়নের কারিগর সাদেক খান

বিএনপি-জামায়াতের রোষানলে পড়ে একাধিক মামলা হামলার শিকার হয়েও নেত্রী মুক্তির আন্দোলনে চার লক্ষ ৫০ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে সাদেক খান ইতিহাস সৃষ্টি করেন। ১৯৯৬ সালে ৪ বার জাতীয় নির্বাচনে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রায়েরবাজার উন্নয়নের প্রাণপুরুষ বলা হয় সাদেক খান কে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান জেনি ঢাকা মহানগর ১৩ নম্বর আসনের নেতা।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের উত্থান এই মোহাম্মদপুরের মাটি থেকেই। শিক্ষা জীবনে তিনি রাজনীতি সাথে যুক্ত হন। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য হয়ে রাজনীতি হাতে খড়ি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) ইতিহাসে মাস্টার্স করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হন নির্দলীয়ভাবে। সর্বকনিষ্ঠ জনপ্রতিনিধি হয়েও সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানে পুরস্কৃত হন।
১৯৫২ সাল থেকে আজও খান পরিবারের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন- চাচা, বড় ভাই, ছোট ভাই এবং সাদেক খানও তার ভোট কমিশনার দুইবার ভারপ্রাপ্ত মেয়র এবং ঐতিহাসিক জনতার মঞ্চের কারিগরি দায়িত্ব পালন করেন।
তার পৈত্রিক সম্পত্তি দিয়ে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী সংযোগ সড়ক করা হয় ৯টি, পানির পাম্প স্থাপন করা হয় ১১টি, একটি পানির পাম্প তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তির দান, খেলার মাঠ, মসজিদ, স্কুল কলেজ স্থাপন করা হয়। তিনি কখনোই মুজিব আদর্শের সাথে আপোষ করে নাই।
তিনি বর্তমানে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থার পরিচয় দিয়েছেন শেখ জামালের স্কুল জীবনের সাথী হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও খান পরিবারের বাড়িতে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে একাধিক বার আসা-যাওয়া করেছেন। জাতির জনকের পায়ের ধুলো পড়েছে খান বাড়িতে।
মোহাম্মদপুরের জনগণের এই জনপ্রতিনিধির দাবি দীর্ঘদিনের জনতার দাবি উপেক্ষা করার সমর্থন সাদেক খানের নেই। তাই এবার ঢাকা-১৩ আসনের সাদেক খান কে চাই।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম বলেন, সাদেক খান এর পৈত্রিক জমিতে বুদ্ধিজীবী কবরস্থান স্থাপিত হয়েছে। এবং বসিলার মানুষ আর নৌকা ছেড়ে গাড়িতে যাতায়াত করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের অংশীদার সাদেক খান তিনি নেতাকর্মী প্রিয় এবং জনতার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন উপযুক্ত ব্যক্তি। সাধারণ মানুষ নেতা চায় না সেবক চাই। তাদের পদচারণায় মোহাম্মদপুরের মাটি ও মানুষের সাথে। তাই আমরা মনোনয়ন আশা করতে পারি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে আমরা মনে করি।