আওয়ামী লীগ চায় অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ঐক্য ফ্রন্ট আমাদের দলের সভানেত্রীর সাথে দেখা করতে চেয়েছেন। আমাদের দলের সভানেত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। বিএনপি বলতো আওয়ামী লীগ এক দলীয় নির্বাচন করতে চায়। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ চায় আগামী সংসদ নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করুক।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কৃষক লীগের এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা ঐক্য ফ্রন্ট করেছেন তার মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইছেন। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই বাংলাদেশের আইন সকলের জন্য সমান। যে দুর্নীতিবাজ সে আইনের চোখে দুর্নীতিবাজ। এই দুর্নীতিকাজ নেত্রীর রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের আইন সকলের জন্য সমান এবং বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। অনেক জ্ঞানী-গুনী, পণ্ডিত ব্যক্তিরা এখানে আছেন। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে এমন ব্যাক্তিও আছেন যারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছন। এই ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা কিছুদিন আছে সেনাবাহিনী সম্পর্কে যে কথা বলেছেন এটা চরম উষ্কানীমুলক কথা। তিনি সেনাবিহিনী সম্পর্কে বলেছেন তারা নাকি অস্ত্র গোলাবারুদ বিক্রি করেছে। এই ধরণের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনী সম্পর্কে জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা মনে করি এই ধরণের উষ্কানী সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অশুভ চক্রান্ত। এই ধরণের ব্যক্তিদের নিয়ে জোট করে দেশ এবং জনগণের কোন স্বার্থ হাছিল হবে না।
ঐক্যফ্রন্টকে নীতি আদর্শহীন দল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে চায় তাদের নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট দেশ জাতির কোন কল্যানে আসবে না। আজকে পরিষ্কার ঐক্যফ্রন্ট নীতি আদর্শহীন একটা জোটে রুপান্তরিত হয়েছে।
বিএনপির সমালোচনা করে হানিফ বলেন, বিএনপি গত নির্বাচনে ২টি কারণে অংশ নেয়নি। রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা কালে সীমাহীন দুর্নীতির কারণে জনগণ দ্বারা ধিকৃত হয়েছিল, জনগণ তাদের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। অন্য কারণ তাদের মিত্র যুদ্ধাপরাধী জামায়েত ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হওয়ার কারণে নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ায় তাদেরই নির্দেশে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় নি। আমরা বলেছিলাম নির্বাচনে নেয়া না নেয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা নির্বাচনে অংশ না সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করেছিল। মানুষ হত্যা, লুটপাট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি বলে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। যদি ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চান তাহলে কেন মানুষের ভোট প্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করেন? আজকে বিএনপি আবার অশুভ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের জনগণ তাদরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এদরে কোন নীতি আদর্শ নেই। এই দলের সৃষ্টি ক্যান্টনমেন্টে। এরা কখনো জনগণের ম্যানডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে না।
খালেদা নির্দোষ হলে বিএনপি কেন আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা মুক্ত করতে পারছে না এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই বিএনপির দুর্নীতির কারণে তাদরে শীর্ষ পর্যায়ের নেতা কারাগারে আছেন। বিএনপি আন্তর্জাতিক ভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ দল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিএনপির নেতারা বলেন তাদের নেতাকে নাকি ষড়যন্ত্র করে কারাগারে রাখা হয়েছে। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, আপনাদের অনেক বড় বড় আইনজীবী রয়েছে, কেন আপনারা আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে তাকে নির্দোষ প্রমান করতে পারছেন না?
তিনি বলেন, বিএনপি জানে তাদের নেত্রী ও তার পুত্ররা যেভাবে দুর্নীতি ও অর্থ আত্নসাৎ করেছে এটাকে নির্দোষ প্রমান করতে পারবে না। সকল তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত তাকে দণ্ড দিয়েছে। আদালতে নির্দোষ দাবি করতে না পেরে এখন সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়, তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।
এমএ