রিজভীর বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল: হাছান মাহমুদ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২১ আগস্ট রায়ের পর সবদিক থেকে ধিকৃত হচ্ছে বিএনপি। তাই দলটি রায় নিয়ে মিথ্যাচারের রাজনীতি করেছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছে তা জাতির সাথে নির্মম মশকরা, আদালত অবমাননার শামিল। তার এই বক্তব্য রায়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করার শামিল।
'২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলার জন্য আওয়ামী লীগই দায়ী' রিজভীর এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, রিজভীর এ বক্তব্য বিএনপির রাজনৈতিক মিথ্যাচারেরই অংশ। ২১ আগস্ট হামলার পর প্রশাসনের দায়িত্বরতদের চাকরীচ্যুত করা তো দূরের কথা তদন্ত পর্যন্ত করেনি। তার এ বক্তব্য আদালতের রায়ের প্রতি কটাক্ষ করা। আমি আদালতের প্রতি অনুরোধ করবো স্বপ্রনোদিত হয়ে রিজভীর এ বক্তব্যের জন্য তাকে বিচারে আওতায় নিয়ে আসবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ২১ আগস্ট হামলার পর বিচারপতি জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে বিএনপি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল। সেই তদন্ত কমিশনও জাতীর সাথে মশকরা করা হয়েছিলো। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপির শুধু যুক্ত নয়। তাদের পরিকল্পনায় তারেক রহমান ও বাবরের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দলটি।
বিএনপি ও ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট হামলার পর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিশন রিপোর্ট দিয়েছিলো এই হামলার সঙ্গে বিএনপির জোট জড়িত। ২১ আগস্ট হামলাকারীদের সাথে ড. কামালের ঐক্য রাজনৈতিক চরম অধপতন।
বিডিআর বিদ্রোহের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। এ সময় হাছান মাহমুদ অভিযোগ করেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের সঙ্গে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জড়িত ছিলেন। যেদিন বিডিআর হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় সেদিন খালেদা জিয়া অনেক ভোরেই তার বাড়ি থেকে গোপনে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। যিনি কোনোদিন দুপুর ২টার আগে ঘুম থেকে ওঠেন না, রাত ৮টার আগে স্থায়ী কমিটির বৈঠক করতে পারেন না, কেন সেদিন তিনি এত ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাসা থেকে চলে গিয়েছিলেন এ প্রশ্ন পুরো জাতির।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষযক সম্পাদক আবদুস সবুর, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী,
উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দপ্তর বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।