‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে’

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন বলেছেন, গরীব কৃষক, শ্রমিকসহ সকল স্তরের মানুষকে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। আগামী নির্বাচনেও বোমা গ্রেনেড হামলাকারী জঙ্গিবাদ শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। মাদক যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। অথচ মাদকের গডফাদাররা গ্রেফতার হচ্ছে না। যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হচ্ছে তারা ভাড়াটিয়া মাদক বহনকারী।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন দলমত নির্বিশেষে মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা নিরপেক্ষভাবে কার্যকরের জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা ন্যায্য বেতন পাচ্ছে না। কৃষক শ্রমিক সকলের স্বার্থ রক্ষা করে দেশ কে এগিয়ে নিতে হবে।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে কালীগঞ্জ বাসটার্মিনালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কালীগঞ্জ উপজেলা শাখা আয়োজিত মাদক, সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি রুখে দাঁড়াও এবং অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোল শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পার্টির উপজেলা সম্পাদক কমরেড আমির হামজা বাবলুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা নেতা রেজাউল ইসলাম, উপজেলা নেতা ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস, অধীর বিশ্বাস, বাহার আলী, জয়দেব কুমার দাস, প্রভাষক বিপ্লক বিষ্ণু, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিক ম-ল, সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া প্রমুখ।
জঙ্গীবাদ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যেয়ে রাষ্ট্রীয় মদদে জঙ্গীবাদ পোষন নীতি গ্রহণ করেন। বাংলা ভাই সম্পর্কে তৎকালীন জামায়াতের আমির শিল্পমন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বলেছিলেন দেশে বাংলা ভাই, ইংরেজি ভাই বলে কোন কিছু নেই। সবই সাংবাদিকদের সৃষ্টি। নিজামীর সুরে একই কথা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদাও জিয়া বলেছিলেন। অথচ তাদের আমলেই জাতীয় আন্তর্জাতিক চাপে বাংলা ভাই শায়েখ আব্দুর রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের মধ্যে দিয়ে জঙ্গীবাদের পিষ্টপোষকতা কারা তা আবারো প্রমানিত হয়েছে। এ মামলায় ১৯ জনের ফাঁসি হলেও হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীর ফাঁসি না হওয়ায় দেশবাসী সন্তুষ্ট নয়। সরকার এ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আপিল করবে বলে আশাকরি। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নমুলক কাজের প্রশংসা করেন এবং কিছু লোকের দুর্নীতির চরম সমালোচনা করেন।
তিনি মোবারকগঞ্জ চিনিকলের অব্যাহত দুর্নীতি ও লোকসানের সমালোচনা করে মোবারকগঞ্জ চিনিকলটি যাতে টিকে থাকে তার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারে প্রতি দাবি জানান। এ অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক হিমাগার নির্মাণের দাবি জানান। কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবি জানান। তিনি কালীগঞ্জ শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত মহাসড়ক সংস্কারের দাবি জানান।
এমএ