ঢাকা শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২


এমপি হলে এলাকার যুব সমাজের কর্মসংস্থান তৈরির মূল লক্ষ্য আনোয়ারের


১৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৬:৫৩

নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার

চাপাইনবাবগঞ্জ -২ (নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট) আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয় অবস্থানে আছেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার। দলের হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগসহ নির্বাচনী এলাকায় প্রতিনিয়ত প্রচার-প্রচারণা করছেন তিনি।

জনপ্রিয় এই প্রার্থী নতুন সময়কে জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার ৮০’র দশকে চাপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম কম ডিগ্রী অর্জন করা পর্যন্ত ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। পরে তিনি ২০১৩ সাল থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সদস্য হয়ে আছেন। এবং যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী কারণবশত অনুপস্থিত থাকলে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

মেধাবী এই রাজনীতিবিদ আইসিএমএ -এর প্রভাষক। মাঝে কয়েক বছর বেসিক ব্যাংকের এমডি’র দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়া তার ব্যবসা-বাণিজ্যও রয়েছে। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার বলেন, নাচোল, গোমস্তাপুর এবং ভোলাহাটের তৃনমুলের জনগন,পুরনো বঞ্চিত আ’লীগের নেতা-কর্মী এবং শিক্ষিত সমাজ আমার পাশে আছে।দীর্ঘদিন থেকে এলাকার অসহায় এবং নিরিহ মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগীতা করে আসছেন তিনি। নির্বাচনি এলাকার আনাচে -কানাচে আনোয়ারের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন দেখা যায়। আবার তার সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরন করছে। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার বলেন,কেন্দ্রীয় নেতারা এলাকায় নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচার -প্রচারনা চালাতে বলেছে।

তিনি বলেন, এমপি প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হলে এই সব এলাকায় যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতিসহ বানিজ্যের প্রসার ঘটাতে চায়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এই অঞ্চলের যুব সমাজের কর্মসংস্থান তৈরিই হবে তার মুল লক্ষ্য।এছাড়া তিনি মুল এবং পুরনো আওয়ামী লীগারদের প্রাধান্য দেবেন বেশি। আনোয়ার বলেন, চাপাইনবাবগঞ্জ -২ (নাচোল,গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট) আসনে তৃনমুলের জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন তিনি। এখানে যদি আমার বিরুদ্ধে বিএনপির শক্ত পতিপক্ষও দেয়া হয় ,তবুও আমাকে দিয়েই নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হওয়া সম্ভব। বর্তমানে এই আসনের সাংসদ গোলাম মোস্তফাসহ আরো ৯ জন প্রার্থী আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে আছেন। সেই সাথে দলের মধ্যে রয়েছে কোন্দল। শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন পেলে এই কোন্দল সমস্যা হবে কিনা তা আনোয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সফল রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিন নৌকা প্রতীক যাকে দেবেন ,শেষ পর্যন্ত সবাই তার পক্ষেই কাজ করবে এতে কোন সন্দেহ নেই ।