আসামিদের ফাঁসি চান ড. হাছান মাহমুদ

২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার একজন ভিকটিম ও মামলার সাক্ষী হিসেবে এই হামলার সাথে যুক্ত তারেক রহমান, বাবরসহ প্রত্যেকের সর্বোচ্ছ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
সোমবার (০৮ অক্টোবর) জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সরকার প্রধানের জ্ঞাতসারেই হয়েছে। বিএনপি নেতারা দেশে বিদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা বক্তব্য দিয়ে বেগম জিয়াকে এই গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এটি সঠিক নয়। বেগম জিয়া যদি জড়িতই না থাকতেন তাহলে এই মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা কেন করলেন? সুতরাং এই মামলার বিচারের আওতায় বেগম জিয়াকেও আনা প্রয়োজন এবং যদি এই মামলায় বেগম জিয়ার শাস্থি না হয় রাষ্ট্র পক্ষকে অনুরোধ জানাবো এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য অন্যায়ের প্রতিকার করতে হয় এবং ন্যায় প্রতিষ্টা করার স্বার্থেই ২১আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক, বাবরসহ বেগম জিয়ারও বিচার হওয়া প্রয়োজন।
ড. কামাল হোসেনের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনি পুলিশের মামলা নিয়ে কথা বলেন। অথচ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশের তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রীকে এবং আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য যে গ্রেনেড হামলা হলো তা নিয়ে আপনি কোন কথা বলেন না কেন? আর আপনি কথায় কথায় মানবাধিকারের কথা বলেন কিন্তু যারা মানবাধিকারের চরম লঙ্গন করেছে, যারা রাজনীতির নামে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, দিনের পর দিন জনগণকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে তাদের সাথে আপনি ঐক্য করছেন। এতে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীগোষ্টির প্রধান পৃষ্টপোষক হচ্ছে বিএনপি এবং এদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন ড. কামাল হোসেন আর বি. চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের সমস্ত পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবো নাকি যারা গ্রেনেড হামলা চালায়, পেট্টোল বোমা হামলা চালায়, জিবন্ত মানুষের গায়ে পেট্টোল ঢেলে দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে এবং যারা দেশের অস্থিত্বকে বিশ্বাস করে না তাদের হাতে ক্ষমতা ও দেশের পতাকা তুলে দিবো। জনগণ অবশ্যই সঠিক রায় দিবে যদি গতদশ বছরে দেশের বদলে যাওয়ার চিত্র এবং এই বর্ণচোরাদের আসল চরিত্র ও লক্ষ্য সঠিকভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে পারি।
সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্র নায়িকা নতুনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক বিচারপতি সামশুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ ফেড়ারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমূখ।
এমএ