কাশিমপুর এলাকাবাসীকে কাঁদিয়ে বিদায় নিলেন (ওসি) আকবর আলি খান
 
                                যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয় , কথাটি যেন আজ কাশিমপুর বাসীর জন্য বাস্তব প্রমাণ করে গেলেন ওসি আকবর আলী খান। কাশিমপুর বাসীর জন্য পথ প্রদর্শক ছিলেন তিনি।যে কাশিমপুর ছিল এক সময় মাদকের আস্তানা, যে কাশিমপুর সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ত,যে কাশিমপুর ছিল মারামারি রাহাজানি ছিনতাই নিত্যদিনের ঘটনা সেই কাশিমপুর থানা হওয়ার পর ওসি আকবর আলী খান এসে হাল ধরেন। থানায় যোগদানের পর থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, তিনি বলেছিলেন মাদক মুক্ত কাশিমপুর থানা করব এটা আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ, ঠিকই তিনি মাদকমুক্ত করেছেন কাশিমপুর কে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ সবকিছুই তিনি বন্ধ করেছেন।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আমরা আজ একজন অভিভাবক কে হারাতে চলেছি, অনেকেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন আজ আমরা অভিভাবক ছাড়া হতে যাচ্ছি। তারা আরও বলেন ওসি আকবর আলি খান এমনই একজন মানুষ ছিলেন যে, তার ভেতরে কোন প্রকার হিংসা কোন প্রকার অহংকার ছিলনা, অনেক লোকই বলেছেন আমরা থানায় গেলে সবসময়ই সুন্দর ভাবে আমাদের সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন।সবসময়ই হাসি মুখে কথা বলেছেন। কখনো দেখি নাই কারো সাথে রাগ করে কথা বলতে।
বিদায় সম্পর্কিত জানতে চাইলে ওসি আকবর আলী বলেন আমাদের চাকুরী হলো যখন যেখানে আদেশ আসবে সেখানে যোগদান করতে হবে। তবে আমি যথাযথ চেষ্টা করেছি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাসাধ্য পালনে। তবে কাশেমপুর বাসি যে ভালোবাসা দিয়েছ তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ কোনদিন ভুলবো না কাশিমপুর বাসীকে।
অবশেষে কাশিমপুর বাসি ভারাক্রান্ত হৃদয় থেকে ওসি আকবর আলী খানের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন। তারা আরও বলেন হে মানব সেবক আপনি যেখানেই যান যেভাবেই থাকেন সবসময় আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনি ও আপনার পরিবার এর সবাই ভাল থাকেন এবং মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে বেচে থাকেন কোটি মানুষের হৃদয়ে।

 
                 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    -2019-12-03-16-44-00.jpg) 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                        -2024-09-02-09-55-40.jpg) 
                                                         
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            