ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


মোদি-শাহর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে বিজেপিতে যোগ দিলেন কংগ্রেস এমপি


১২ মার্চ ২০২০ ০৫:০১

নিজদল ছেড়ে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস এমপি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বুধবার বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের উপস্থিতিতে দলটিতে যোগ দেন কংগ্রেসত্যাগী এই নেতা। মঙ্গলবার সকালে বিজেপির সাবেক সভাপতি ও ভারতের রাষ্ট্রপতি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। তিনিসহ সোম ও মঙ্গলবার সবমিলিয়ে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের ২২জন বিধায়ক দল ছাড়েন। এতে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

বিজেপিতে যোগ দিয়ে কংগ্রেসের চারবারের এমপি বলেন, কংগ্রেস আজ আর তার আগের অবস্থানে নেই। ২০১৮ সালে অনেক স্বপ্ন নিয়ে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠন করেছিল। মানুষের বহু আশা ছিল এই সরকারের উপর।

কিন্তু, এখনও পর্যন্ত নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির কিছুই পালন করা হয়নি।’ মধ্যপ্রদেশ সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত বলে বিজেপি দফতরে দলের সভাপতি নাড্ডার পাশে বসেই মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে কটাক্ষ করেন জ্যোতিরাদিত্য। গত দেড় বছরের কৃষকরাও দেনা মুকুব হয়নি বলে দাবি করেন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয়া এই নেতা।
দলে জায়গা ঠাঁই দেওয়ার জন্য এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন জ্যোতিরাদিত্য।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও বিবিসি জানায় জানায়, সিন্ধিয়ার পাশাপাশি কংগ্রেস ছেড়েছেন আরো ২২ জন বিধায়ক। সোমবারই এ নাটকীয়তার শুরু। সেদিন সিন্ধিয়ার অনুগামী অন্তত ১৭ বিধায়ক পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। যোগাযোগের বাইরে ছিলেন সিন্ধিয়াও। এরপরদিন দিল্লি সফর করে মোদি ও অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তখন থেকেই গুঞ্জন সৃষ্টি হয় যে, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। সেদিন সকালে অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক শেষের কিছুক্ষণের মধ্যেই এক টুইটে নিজের দলত্যাগের কথা নিশ্চিত করেন সিন্ধিয়া। এ টুইটের পর তার আরো পাঁচ জন অনুগামীও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সরু সুতোর উপর ঝুলছে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার। সিন্ধিয়া অনুগামী বিধায়কদের সমর্থন হারানোয় কার্যত সংখ্যালঘু কংগ্রেস সরকার। যেকোনও সময় কমলনাথ সরকারের পতন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী হওয়া নিয়ে কংগ্রেস-সিন্ধিয়া মনোমালিন্যের সূত্রপাত। আগামী ২৬ মার্চ মধ্যপ্রদেশে রাজ্যসভার ভোট। আসন সংখ্যার নিরিখে মধ্যপ্রদেশের তিন আসনের ২টিতে এর আগে কংগ্রেস প্রার্থীর জয় নিশ্চিত ছিল। এই আসনের একটিতে নিজে ও অপরটিতে তার অনুগামীকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। ১৩ মার্চ মনোময়ন জমার শেষ দিন হলেও দোলের দিন পর্যন্ত দলের উচ্চ পর্যায় থেকে এ প্রসঙ্গে কোনও নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তারপরই মোদী-শাহের সঙ্গে আলোচনার পর কংগ্রেস ছাড়ে জ্যোতিরাদিত্য। সূত্র জানিয়েছে, গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে রাজ্যসভার টিকিট পাচ্ছেন গোয়ালিয়রের রাজ পরিবারের সদস্য।