ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


সরকার নিজেদের দেউলিয়াত্ব শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে: মান্না


২৩ আগস্ট ২০২২ ০৬:২২

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুদিন বন্ধ রাখার ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের সম্মুখীন।


নিজেদের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থপাচারের মাধ্যমে তারা দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংস করেছে।
এ কারণে নিজেদের দেউলিয়াত্ব তারা শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে। সোমবার (২২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মান্না বলেন, সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের অজুহাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অফিস এবং ব্যাংকের কর্ম ঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। এটি সরকারের চরম ব্যর্থতার প্রমাণ। এই সরকার দেশের মানুষের সকল নাগরিক এবং মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের এই শীর্ষ নেতা বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সরকার ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করলেও প্রকৃতপক্ষে অনেক আগেই তারা দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা প্রতি বছর ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। আর এখন সংকটের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাত দেখাচ্ছে।

তিনি বলেন, এতদিন মিথ্যা উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে তারা এখন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কাছে হাত পাতছে। পাচারের মাধ্যমে তারা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খালি করে ফেলেছে। জ্বালানি তেলের মজুদ ফুরিয়ে আসছে। নতুন করে জ্বালানি তেল আমদানির টাকাও নেই তাদের কাছে।

দেশের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সরকারকে দায়ী করে মান্না বলেন, এই সরকার দেশকে দেউলিয়াত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সংকটের দায় কেবল এই সর্বগ্রাসী সরকারের। জ্বালানি তেলসহ অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন শ্রীলঙ্কার প্রায় সমান এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন তলানিতে ঠেকেছে। সংকট উত্তরণের জন্য এই সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ পেলেও সেই অর্থ লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করে জনগণের মাথায় নতুন ঋণের বোঝা চাপাবে।

মান্না আরও বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ অবৈধ, দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করা। অন্যথায় এই সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেশকে মেধাহীন করবে এবং অর্থনৈতিক ভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করবে।

প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে সোমবার (২২ আগস্ট) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এদিন মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা এবং ব্যাংক সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুদিন বন্ধ রাখা হবে।