ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১

এডিস মশা নির্মূলে ডিএনসিসির দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘চিরুনি অভিযান’ উদ্বোধন


১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৩

ছবি-নতুনসময়

এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসকরণের লক্ষ্যে রোববার থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও চিরুনি অভিযান’ শুরু হয়েছে। রোববার ডিএনসিসি মেয়র, আতিকুল ইসলাম মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেইটের সামনে এ অভিযান উদ্বোধন করেন।

চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, প্রথম চিরুনি অভিযান থেকে আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা জানি কোথায় কোথায় এডিস মশার বংশবিস্তার হতে পারে। প্রথম পর্যায়ের চিরুনি অভিযানে কোনো বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলেও তাদেরকে জরিমানা করা হয়নি, সতর্ক করা হয়েছিল। তবে এবার কারো বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি কোনো ‘সার্ভিস প্যাসেজে’ ময়লা-আবর্জনা পাওয়া গেলে সেই ‘সার্ভিস প্যাসেজের’ পাশের ভবনের সকল ফ্ল্যাট মালিকদের বিরুদ্ধে ময়লা-আবর্জনা ফেলার অপরাধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাসা-বাড়ি, কর্মস্থল, দোকানপাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সর্বক্ষত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সকলের প্রতি মেয়র আহবান জানান।

প্রথম পর্যায়ের চিরুনি অভিযানের মতো এ অভিযানেও প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে এবং প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সাব-ব্লকে ৮ থেকে ১০ জন পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মীদের একটি দল চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি ব্লকের ১০টি সাব-ব্লকে ১০টি দল চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে। এভাবে ১০দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে এ অভিযান সম্পন্ন হবে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ চিরুনি অভিযানের সার্বিক তত্বাবধান করছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে ১০দিনব্যাপী প্রথম দফা চিরুনি অভিযান অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফা চিরুনি অভিযানে ৩৬টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ১ লক্ষ ২২ হাজার ২১৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ২ হাজার ১৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬৭ হাজার ৭৫৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান/জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। সেসব স্থানগুলো ধ্বংস করে লার্ভিসাইড প্রয়োগ করা হয়। চিরুনি অভিযানকালে মাটির পাত্র, ফুলের টব, পানির ট্যাংকের নিচ, ড্রাম, চিপ্সের প্যাকেট, পরিত্যক্ত পানির হাউজ, কলসি, পরিত্যক্ত বেসিন, কমোড ও টয়লেটের ফ্লাশ, বালতি, টায়ার, খাবারের প্লাস্টিক-প্যাকেট, লিফটের নিচ, নির্মাণাধীন ভবন, ডোবা, পলিথিন, ডাবের খোসা, নিচু জায়গা, ছোট পাত্র, নারিকেলের মালা, পানির ড্রাম, মাটির হাড়ি, প্লাস্টিকের পাত্র, বাড়ির ছাদ, দুই বাড়ির মধ্যবর্তী স্থান, ওয়াসার মিটার, গ্যারেজ ইত্যাদি জায়গায় এডিস মশার লার্ভা এবং এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

এডিস মশা নির্মূলে বছরব্যাপী ডিএনসিসির কর্মসূচি ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।