ঢাকা রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


‘বাঙালি আগে চুমু খাওয়ার প্র্যাকটিস করুক’


২ নভেম্বর ২০২০ ০৭:৩২

‘জেমস বন্ড’ প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ইয়ান ফ্লেমিং রচিত উপন্যাসের কাল্পনিক চরিত্র। ১৯৬২ সালে এই চরিত্র নিয়ে নির্মিত হয় প্রথম চলচ্চিত্র ‘ড. নো’। এতে ‘জেমস বন্ড’ চরিত্র রূপায়ন করেন সদ্যপ্রয়াত স্কটিশ অভিনেতা শন কনারি। এটি পরিচালনা করেন ইয়ান ফ্লেমিং। জগৎখ্যাত এই সিনেমা সিরিজের মোটি ২৪টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। আর ‘জেমস বন্ড’ চরিত্রে এ পর্যন্ত ৬জন অভিনয় করেছেন।

প্রায় ৬ দশক ধরে চলা এই সিনেমা সিরিজ নিয়ে বাংলায় কোনো রিমেক হয়নি। দুই বাংলার অনেকে নির্মাণের স্বপ্ন দেখলেও তা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। ‘জেমস বন্ড’ নির্মাণের স্বপ্ন এখনো দেখেনে ভারতীয় বাংলা সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা-নির্মাতা অরিন্দম শীল।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন—বাংলায় ‘জেমস বন্ড’ নির্মাণ করলে তা অসাধারণ একটি ব্যাপার হতো। কিন্তু সত্যি কথা হলো, স্পাই মুভিজ এবং বন্ড ফিল্মের ক্ষেত্রে সিনেমাকে যে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা বাংলা কেন, কোথাও সেটা ‘রিক্রিয়েট’ করা সম্ভব বলে আমার মনে হয় না। হাভিয়ার বার্দেমের মতো একজন অভিনেতাকে দিয়ে একটি অসাধারণ ভিলেনের চরিত্র করানো হলো। আমরা সবসময় বলি, হিরোকে শক্তিশারী হতে হলে আরো শক্তিশালী ভিলেনও হতে হবে। আমার কিন্তু সবচেয়ে ভালো লেগেছে বার্দেমকে। তবে স্বপ্নটা আমি এখনো দেখি। ইচ্ছাটা বেঁচে থাকুক, ক্ষতি কী!

একটি ‘জেমস বন্ড’ বাংলায় নির্মাণ করতে গেলে প্রতিবন্ধকতা কোথায়? তারই উত্তরে অরিন্দম শীল বলেন—বন্ড চরিত্রে কাকে নেব? সেটা কয়েক শ কোটি টাকার প্রশ্ন। বোধহয় তপস্যায় বসতাম! কিন্তু তপস্যা শেষে দেখতাম—ধু ধু মরুভূমি। একেবারে সাহারা। কোথাও মরীচিকাটুকুও দেখা যাচ্ছে না। তবে নতুনদের মধ্যে একটা সিরিয়াসনেস রয়েছে। একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না। প্রয়োজন একজন নতুন নায়কের। যে সার্বিক অভিনেতা হবেন। তিনি চায়ের কাপে চুমুক দিতে পারেন। কিন্তু রোমান্টিসিজমটাও সমানে সমানে হতে হবে। একটি রিয়েলিস্টিক ক্যারেক্টার চাই।

বাঙালি অভিনেতার অনস্ক্রিনে চুমুর দৃশ্যের কথা উল্লেখ করে অরিন্দম শীল বলেন—জেমস বন্ডের ওই বান্ধবীকে সাপটে ধরে চুমু দেওয়ার বিষয়টির কী হবে? বাংলায় আগে সবাই বরং চুমু খাওয়ার প্র্যাকটিস করুক! অনস্ক্রিন চুমু কীভাবে খেতে হয়, তা খুব কম অভিনেতাই জানেন। আসলে ওটা চুমুরও ব্যাপার নয়, ওটা ন্যাচারাল প্যাটার্ন অ্যাক্টিং। এখানে সেই অনুশীলনের অভাব রয়েছে। আমার ব্যোমকেশে সেটা ছিল। সে চুমুও খেতে পারে, আবার গীতগোবিন্দও আওড়ায়। সেগুলো দিয়েই আমাদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।

জেমস বন্ডের পর প্রশ্ন বন্ডগার্ল কে হবেন? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর অরিন্দম শীলের কাছেও নেই। এ নির্মাতা বলেন—টলিউডে অনেকেই আছেন, যারা অত্যন্ত গ্ল্যামারাস। এ তালিকার উপরে রয়েছেন নুসরাত জাহান আর মিমি চক্রবর্তী। দু’জনেরই গ্ল্যামার রয়েছে। দু’জনেই প্রয়োজনে লাস্যময়ী। কিন্তু ওরা কি পর্দায় চুমু খেতে রাজি হবে? দু’জনেই তো সাংসদ, জনপ্রতিনিধি!

সূত্র: আনন্দবাজার