চুমুর কারনে বিয়ে ভাঙলো নায়িকার

পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসনের কারণে এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর চলচ্চিত্র জগতেও পরিবর্তন এসেছে। বর্তমান সময়কার সিনেমায় নায়ক-নায়িকার চুম্বনের দৃশ্য তো সকলেই দেখে থাকবেন। পিছিয়ে নেই বলিউড ইন্ডাস্ট্রিও। এখনকার সিনেমা মানেই তাতে চুম্বন দৃশ্য থাকবে। আর সিনেমায় চুম্বন দৃশ্য বা কিস সিন নিয়ে মানুষের মনে কখনোই উত্তেজনার শেষ নেই। কে কাকে কখন কিভাবে চুমু খেল কতক্ষণ খেল, এসব নিয়ে চর্চা চলতেই থাকে।
এই বিষয়গুলোকে আগে সমাজে খুব লজ্জার বিষয় হিসেবে মনে করা হতো সেগুলোর দৃশ্য এখন সিনেমায় অবলীলায় ধারণ হচ্ছে।
দক্ষিণ ভারতের সিনেমায় খুবই পরিচিত নাম রশ্মিকা মন্দনা। তেলুগু ছবি ‘গীতা গোবিন্দম’-এর দক্ষিণী ছবির দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। আর সিনেমা হিট হওয়ার ঠিক পরপরই অভিনেতা রক্ষিত শেট্টির সঙ্গে বাগদান সেরে ফেলেছিলেন নায়িকা রশ্মিকা।
তবে এখন শোনা যাচ্ছে, রশ্মিকার সঙ্গে সেই বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন অভিনেতা রক্ষিত। বিয়েটা কেন ভেঙে দিয়েছেন, সেই কারণটা জানলে হতবাক হবেন যে কেউ।
সম্প্রতি রশ্মিকার অভিনীত ‘ডিয়ার কমরেডস’ ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। আর এই ট্রেলার প্রকাশ্য পাওয়ার পরেই যত বিপত্তি। ওই ট্রেলারে ‘অর্জুন রেড্ডি’ খ্যাত বিজয় দেভরকোন্ডার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে চুম্বনে লিপ্ত হতে দেখা গেছে রশ্মিকাকে। আর এই দৃশ্যই নাকি রশ্মিকার বিয়ে ভাঙার মূল কারণ। যদিও এ বিষয়ে রশ্মিকা ও রক্ষিত দুজনের কেউই মুখ খোলেন নি।
অবশ্য এ নিয়ে ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, অনস্ক্রিন হলেও অন্য নায়কের সঙ্গে হবু বউয়ের চুম্বনের বিষয়টা কোনভাবেই মানতে পারছেন না রক্ষিত।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খরব অনুযায়ী, চুম্বনের দৃশ্যের কারণে নয়, বিভিন্ন কারণেই রশ্মিকার সঙ্গে রক্ষিতের মনোমালিন্য চলছিল। এমনকি তাদের দুই পরিবারের মধ্যেও বিভিন্ন কারণে মত পার্থক্য হচ্ছিল বলে খবর রয়েছে। রশ্মিকা না তার বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই মুহূর্তে তেলেগু ও কন্নড় দুই ভাষাতেই অনেক ছবির প্রস্তাব আসছে রশ্মিকার কাছে। আপাতত রশ্মিকা সেগুলিতেই মনোনিবেশ করতে চান। কোনো কারণে নিজের ক্যারিয়ারের উপর প্রভাব পড়ে এমন কিছু চান না অভিনেত্রী রশ্মিকা।