রাজধানীর শ্যামপুরে ১৮ তালা ভেঙে দোকান লুটপাট ও দখল চেষ্টার অভিযোগ

দোকান ঘরের ১৮ টি তালা ভেঙে লুটপাট ও দখল চেস্টার অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন পোস্তগোলার করিমুল্লাবাগে শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর পরিবার জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, স্থানীয় ইউসুফ হোসেনের পরিবারের প্রায় নিজস্ব দোকানসহ তার জমির ওপর ১৪ টি দোকান রয়েছে। দোকানগুলো লোহালক্করের। দোকানের জায়গা নিয়ে আবুল বাশারের সঙ্গে দ্বন্দ চলে আসছিল। এটি নিয়ে আদালতে উভয়পক্ষের মামলাও চলমান। এরই মধ্যে শনিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে আবুল বাশার ৩০/৪০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে এসে প্রকাশ্যই ইউসুফ হোসেনের নিজস্ব দোকানের প্রায় ১৮ তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা দেকানের ভেতরে থাকা জমির দলিল, ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র, গ্যাস, পানি, বিদুৎ বিলের কাগজ তছনছ করে। তারা সেখানে সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ইউসুফ হোসেন, তার ভাই ইসমাঈল হোসেন ঘটনাস্থলে আসলে তারা তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এমন অবস্থায় ইউসুফ হোসেন ৯৯৯ এ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে শ্যামপুর থানা পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে আসেন।
ভুক্তভোগী ইউসুফ হোসেন অভিযোগ করেন, তারা আমার সৎ বোনের নিকট থেকে জমি কিনেছে বলে জানিয়ে জায়গাটি দখল করার চেস্টা করছে। সকালে ভাড়া সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে এসে প্রকাশ্য তারা দখল করার চেস্টা করছে। এর আগেও তারা এমন কাজ করেছে।
তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেছি। মামলা চলমান রয়েছে। এসিল্যান্ড অফিস থেকেও তদন্ত হয়েছে যেখানে আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। এরা এখন সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে উচ্ছেদ করতে চাচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
ভুক্তভোগী ইউসুফ হোসেনের ভাগ্নি রাকিবা আহমেদ বলেন, আবুল বাশার অনেক প্রভাবশালী। সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের জায়গা জমি দখলের চেস্টা করছে। প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কারনে আমাদের চলাফেরাও স্থিমিত হয়ে গেছে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাচ্ছি।
শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও করা হয়েছে। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছি।