রোজার মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন

মজুরি বৃদ্ধির নামে শ্রমিকরা প্রতারণার শিকার হচ্ছে। শ্রমিকদের ছাঁটায়- নির্যাতন, হামলা- মামলা বন্ধ এবং ২০ রোজার মধ্যে সকল গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করার দাবি জানান গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।
আজ শুক্রবার (১৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে আহসান হাবিব বুলবুলের সভাপতিত্বে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করার দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন পালন করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রতিবছর সরকার ক্রাইসিস ম্যানেজনেন্ট কমিটির সভা করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন- বোনাস প্রদানের জন্য একটি সর্বশেষ তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও অনেক পোষাক কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের বেতন- বোনাস পরিশোধ করছেনা।
তারা আরো বলেন, শেষ মূহুর্তে শ্রমিকদের বকশিসের নামে নামমাত্র কয়েকটি টাকা দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের অসহায়ত্বের সুযোগ নেই। সেখানে বর্তামানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী, ঈদের ছুটির পূর্বে সকল গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন- বোনাস পরিশোধ করার কথা বলে শ্রমিকদের জিম্মি করা এবং তাদের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করার জন্য গার্মেন্টস মালিকদের সুযোগ থাকে না। শেষ সময়ে অতিরিক্ত দাম দিয়ে জিনিসপত্র কিনতে হয়, পরিবহন ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় করতে হয়। ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে অল্প খরচে গ্রামের বাড়ি যাওয়ায় জন্য ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন ব্যবহার করতে বাধ্য হয় যা অনেক পোশাক শ্রমিককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। বক্তারা আরও বলেন, ঈদ আকস্মিক ভাবে আবির্ভাব কোন ঘটনা না। ঈদ কখন হবে তা পূর্বেই নির্ধারিত থাকে।
যেমন মালিক যথাসময়ে শ্রমিকদের ঈদের বোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য প্রস্তুত থাকে না। সেসব মালিকের মধ্যে কিছু মালিক কারখানা পরিচালনার অযোগ্য এবং কিছু মালিক শ্রমিকের পাওনা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা থেকেই ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ অক্ষমতা দেখায়। শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রকৃতপক্ষে মালিকদের স্বার্থেই যায়। তার বক্তব্য একদিকে শ্রমিকদের দাবির প্রতি গুরুত্ব না দেয়া। অন্যদিকে মালিকের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করবে। এছাড়াও গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরিফের উপর হামলাকারি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করে বলেন মজুরি বৃদ্ধির নামে শ্রমিকরা প্রতারণার শিকার হলেও যে নামমাত্র মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে তা থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার জন্য ছাঁটাই, নির্যাতন, হামলা করা হচ্ছে যা নিন্দনীয়।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, খালেকুজ্জামান লিপন, জাহাঙ্গীর আলম গোলক, সৌমিত্র কুমার দাস, সাইফুল ইসলাম শরীফ প্রমুখ।’
নতুনসময়/আল-এম,