ঢাকা সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২


মামিকে হত্যার পর ভাগ্নের আত্মহত্যা


১৫ মে ২০১৯ ০০:৫২

মামিকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে ভাগ্নে মো. আপেল মিয়া (২১)। পরে খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ দু’টি উদ্ধার করে। বগুড়া শিবগঞ্জ মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার সকালে ১১ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, মোকামতলার ভাগকোলা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে আলেয়া বেগমকে (৩৫)। শহিদুল ইসলামের ভাগ্নে উপজেলার রায়নগরের টেপাগাড়ীর আজাহার আলীর ছেলে মো. আপেল মিয়া ছোটবেলা থেকেই মামা বাড়িতে বড় হয় এবং সেখানেই বসবাস করে। মামার বাড়িতেই আপেল বসবাসের পাশাপাশি কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতো। বাড়িতে থাকার সুযোগে মামি আলেয়াকে ভাগ্নে আপেল অনৈতিক সর্ম্পক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবে রাজী না হলে কয়েক মাস আগে মামীর ঘরে প্রবেশ করে এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করে।
এ নিয়ে মামি তার স্বামীকে অভিযোগ করে। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাম্য সালিশে আপেলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এর এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টার সময় বাড়ির টিউবওয়েল পাড়ে মামি আলেয়ার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।

এ নিয়ে হৈ-চৈ শুরু হলে ভাগ্নে আপেলকে খোঁজ করতে থাকে তারা। খোঁজা-খুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি কক্ষে ভাগ্নে আপেলের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, দু’টি লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামি অনৈতিক সর্ম্পকে রাজী না হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।

তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, কাঠের কাজে ব্যবহৃত ধারালো বাটাল দিয়ে আলেয়ার ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করেছে। এরপর ওই বাটাল দিয়েই নিজের পেটে আঘাত করে আত্মহত্যা করে আপেল। আপেলের মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে রক্ত মাখা বাটাল উদ্ধার করা হয়েছে।


নতুনসময়/এনএইচ