ভাঙা হাতের চিকিৎসা নিতে এসে নারী রোগীর মৃত্যু

লহ্মীপুরে ভাঙা হাতের চিকিৎসা নিতে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রিজিয়া বেগম নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর নিহত রোগীর বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর এবং ডাক্তারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। শনিবার ভোরে পৌর শহরের আধুনিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে অভিযুক্ত ডাক্তার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, অপারেশন করার পর রোগীর জ্ঞান ফিরলে তাকে বেডে নিয়ে গেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্র ও নিহতের স্বজনরা জানান, পশ্চিম লহ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী রেজিয়া বেগম ভাঙা হাত নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসেন আধুনিক হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে ভর্তির পর রাত ১০ টার দিকে ওই রোগীকে অচেতন করে হাতের অপারেশন করেন হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডাক্তার এসহাক ভূঁইয়া। অপারেশনের পর থেকে শুক্রবার ভোর রাত পর্যন্ত ওই রোগীর জ্ঞান ফেরেনি বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
এসময় ডাক্তারের পরামর্শে দায়িত্বরত একজন নার্স রোগীকে একটি ইনজেকশান পুশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর রোগী মারা গেছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর রোগীর স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে হাসপাতাল ভাঙচুর করে। প্রায় ১ ঘন্টা ওই ডাক্তারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। এসময় হাসপাতালের স্টাফ ও নার্সরা সবাই পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এর আগেও হাসপাতালটিতে বেশ কয়েকজন রোগী ভুল চিকিৎসার কারণে মারা গেছেন। প্রভাবশালীরা হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হাসপাতালটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। সদর থানার এস আই আব্দুল মতিন বলেন, রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতাল ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
নতুনসময়/এনএইচ