কাজের মেয়েকে বিয়ে করার খবরে আইনজীবী স্ত্রীর আত্মহত্যা

স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবরে আত্মহত্যা করেছেন সাবিকুন্নাহার রূপা নামে এক নারী আইনজীবী। মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রূপার স্বামী বাসার কাজের মেয়েকে গোপনে বিয়ে করেছে এমন খবর জানতে পেরে সোমবার সকালে কীটনাশক পান করে। তাকে দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে মৃত্যু হয় রূপার।
এ দম্পতির কোনো সন্তান নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তমাল মাহমুদ মাগুরা শহরে ব্যবসা করেন।
রূপার বড় ভাই মইনুল হোসেন অপু সাংবাদাকিদের বলেন, মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান মুন্সীর ছেলে তমাল মাহমুদের সঙ্গে ১২ বছর আগে রূপার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা ভালোই ছিল। সম্প্রতি রূপার স্বামী তমাল গোপনে বাসার কাজের মেয়েকে বিয়ে করে। বিষয়টি জানতে পারে রূপা।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রূপা আমাকে মোবাইলে ফোন করে জানায় সে খুব বিপদের মধ্যে আছে। আমাকে শুক্রবার সকালে মাগুরা আসতে বলে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে শুক্রবারে আসতে না পারায় রবিবারে বিকেলে মাগুরা আসি। রাতে রূপা এবং তমালকে এক জায়গায় বসিয়ে তমালের কাছে বিয়ের ব্যাপারে জানতে চাই। তখন তমাল স্বীকার করে সে রূপাকে না জানিয়ে বাসার কাজের মেয়েকে বিয়ে করেছে।
মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজিদুর রহমান জানান, সাবিকুন্নাহার রূপা দুই বছর আগে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। তার মৃত্যুতে আদালত অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তবে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নতুনসময়/এনএইচ