ঢাকা শনিবার, ১০ই মে ২০২৫, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩২


ফণীর প্রভাবে উপকূলের ২০ গ্রাম প্লাবিত, শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি


৪ মে ২০১৯ ২০:৪১

নতুন সময়

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার উপকূলিয় এলাকা কুতুবদিয়ার ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ইউএনও দীপক কুমার রায় বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় প্লাবিত এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মতবর বলেন, পূর্বে থেকে উপজেলা প্রশাসন সতর্ক থাকায় জানের তেমন ক্ষতি হয়নি, মালামালের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ্ছাফা জানান, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পশ্চিম তাবলরচর, আনিচের ডেইল, জেলেপাড়া, কাহারপাড়া প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও বড়ঘোপ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, দক্ষিণ মুরালিয়া, অমজাখালী, আজম কলোনী, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ জানান, মলমচর, উত্তর কৈয়ারবিল, মহাজনপাড়া, মফজল ডিলার পাড়া, দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমদ চৌধুরী জানান, বাতিঘর পাড়া, উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী জানান, কাইছারপাড়া, নয়াকাটা, আকবরবলী ঘাট, ফয়জানিরবাপের পাড়া, পূর্ব নয়াকাটা, উত্তর সতর উদ্দিন, লেমশীখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আকতার হোচাইন জানান, পেয়ারাকাটা, ক্রসডেম বিসিক এলাকায় জোয়ারের নোনা পানি ঢুকে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ জানান, দুই শতাধিক ঘরবাড়ি, শত শত একর পাকা ধানের ফসল প্লাবিত এবং কয়েক হাজার মেট্রিকটন লবণ তলিয়ে গেছে।

কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী বলেন, কুতুবদিয়া উপকূলের কৃষকেরা বুঝতেও পারেনি যে, এভাবে জোয়ারের পানি লোকালয়ে চলে আসবে। জোয়ারের প্রভাবে উপকূলের কৃষক ও লবণচাষীদের কোটি কোটি টাকার ফসল ও লবণ নষ্ট হয়েছে। দ্বীপের ৪০ কিলোমিটিার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৪ কিলোমিটার বাঁধ ভাঙা রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের পানির চেয়ে উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।’

নতুনসময়/আল-এম