কিশোরীর ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা, ইউপি সদস্যসহ আটক ২

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া গ্রামে ১৩ বৎসরের কিশোরীকে ধর্ষন করে স্কুল ছাত্র মোবারক ও রাকিব এবং মেয়েটি ৮মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়।
ঘটনায় বৃহস্পতিবার নান্দাইল মডেল থানায় ধর্ষক স্কুল ছাত্র মোবারক ও রাকিব এবং ধর্ষনের আলামত নষ্টকারী এবং সালীশ বিচারের নামে সময় ক্ষেপনের অভিযোগে, সিংরইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাইদুল ইসলাম সহ ১০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম ও সালীশকারী মো. লাল মিয়াকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মো. রুহুল কদ্দুছ খাঁন জানান, সকল আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিদের্শ রয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। অনুসন্ধানে জানাগেছে, একই গ্রামের প্রতিবেশী চান্দু মিয়ার ছেলে মোবারক এবং আকরামের ছেলে রাকিব জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে তাকে ধর্ষন করেছে। মেয়ের মা-বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে গলায় ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে ঘরের পিছনে নিয়ে ধর্ষন করে এবং ধর্ষন শেষে এ বিষয় প্রকাশ না করার জন্য জবাই করে মেরে ফেলার হুমকী দেয় তাকে।
এ ঘটনার তিন মাস পর মেয়েটি অন্ত:সত্ত্বায় পরিণত হলে বিষয়টি চারপাশ জানাজানি হয়। পরে মেয়েটির বাবা স্থানীয় মাতাব্বরদেরকে জানালে তারা বিচারের কালক্ষেপন করে ৭ মাসেরও বেশী অন্ত:সত্ত্বা দিন পার হয়ে যায়। তথাপিও কোন বিচার পায়নি ধর্ষিতার বাবা।
নতুনসময় / আইআর