চতুর্থ শ্রেণীর প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণে অন্তসত্বা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পুঠিয়া গ্রামের এক ব্যক্তির প্রতিবন্ধী মেয়েকে ভাগ্নী ডেকে প্রায় তিন মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে ধর্ষক রওশন আলীর (২৫) বিরুদ্ধে। ধর্ষিতা স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।
সরেজমিনে গিয়ে ধর্ষিতার পরিবার ও এলকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, পুঠিয়া গ্রামের মান্নানের লম্পট ছেলে রওশন আলী প্রায় তিন মাস ধরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছে। ধর্ষনের ফলে প্রতিবন্ধী এখন দুই মাসের অন্তঃসত্বা। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গত শুক্রবার প্রতিবন্ধী লায়লি স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে ধর্ষক রওশন আলী শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করলে মেয়েটির চিৎকারে আসপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।
পরে মেয়েটি রওশন কর্তৃক ধর্ষণের কথা স্বীকার করে কান্নায় ভেঙ্গে পরে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রাম্য প্রধানগণ গত মঙ্গলবার রাতে শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করলে ধর্ষক ও তার পরিবারের কেউ শালিসে উপস্থিত না হয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে মামলা না করার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এদিকে ধর্ষীতার দরিদ্র পরিবার অসহায় হয়ে গ্রাম্য প্রধানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিচারের জন্য।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং ধর্ষকের শাস্তির দাবীতে ফুসে উঠছে গ্রামবাসী। এ দিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে রওশন আলী এ প্রতিবেদককে জানায়, বিচারে আমার যে শাস্তি হয় আমি তা মাথা পেতে নেবো।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হায়দার আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা গ্রামের প্রধানবর্গ দুই পরিবারের মানুষদের নিয়ে দুই দফা আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
শাহজাদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফাহমিদা হক শেলী জানান, আমি মনে করি, ধর্ষনের কোন ক্ষতিপূরণ হয়না, ধর্ষককে শাস্তির আওতায় আনাই একমাত্র স্বাভাবিক বিচার। ভিকটিম এবং তার পরিবার আইনের আশ্রয় চাইলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।