ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


নিরীহ পরিবারকে জমির দাবীতে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন


২২ নভেম্বর ২০২২ ০০:১১

ক্রয়কৃত জমি থেকে ভাতিজারা জমি দাবী করে, না পেয়ে ভাতিজা বউ আমেনাকে দিয়ে নসু মিয়া (৭০) এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু অপরাধ আইনসহ ৫টি মামলা দিয়ে হয়রানি করে নিঃস্ব করার অভিযোগে নসু মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা দক্ষিণ আইচা প্রেসক্লাবে সোমবার সকাল ১১টার সময় সংবাদ সম্মেলন করে হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নসু মিয়া লিখিত অভিযোগ পাঠ করে জানান, চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়ন মাঝের চর এলাকার স্বপনের কাছ থেকে আমার স্ত্রী নাছিমা বেগম ক্রয় সুত্রে জমির মালিক হন। উক্ত জমি থেকে আমার ভাতিজা আকবর মুন্সি, স্বপন মুন্সি, রিপন মুন্সি, খোকন মুন্সি মো.আলী মুন্সি, ছমেদ হাওলাদার সহ আমার ৩০ বছরের ভোগ দখলীয় দাবী করে খোকনের স্ত্রী আমেনা বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ আইচা থানার মামলা নং ৩/৪২, তারিখ ৫ জুলাই ২২ দায়ের করে। একই বাদিনী ২২ দিন পর ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(খ)(৪) ১০ কমপ্লেইন পিটিশন দায়ের করলে আদালত দক্ষিণ আইচা থানাকে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিলে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এলাকা সহ ৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে ৩ পাতার প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, বাদিনীর আরজির সাথে ঘটনার কোন মিল নাই। তাদের সাথে জমিজমা বিরোধের জেরে নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। বাদীর বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১৭ জারী করার আরজি জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা। অজ্ঞাতনামা নয়া বিবি বাদী হয়ে একই তারিখে একই সময়ে ভোলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ৪৭৪/২২ ও চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে ৫৯৯/২২ তারিখ ১৪ আগষ্ট ২২ মামলা দায়ের করেন। আকবর মুন্সী গং বাদী হয়ে ভোলা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল আদালতে মোকদ্দমা ১৪২/২২ দায়ের করেন।

আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা গুলো পরিচালনা করতে ৩০ শতক জমি বিক্রী করতে হয়েছে।
আকবর জালজালিয়াতি করে ৭২১৪/৮২ সালে ৩ একর জমির দলিল সৃজন করে দখলের পায়তারা করলে মালিকগনের পক্ষে আমি ভোলার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারা মোতাবেক এমপি ৩১৬/২২ দায়ের করি। মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।