ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


সন্ত্রাসীদের হুমকিতে বাড়িছাড়া ব্যবসায়ী


৭ নভেম্বর ২০২২ ০৩:৫৭

প্রতিকি

মাদারীপুরের রাজৈর টেকেরহাট এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলা ও নানা ধরনের হুমকিতে মানিক আকন (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিজ বাড়িতে যেতে পারছেন না। এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে মামলা নেয়নি। ওই এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাগর আহমেদ ওরফে উজির শেখের নির্দেশে এসব হামলা করা হচ্রেছ বলে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ।

রবিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে এসে মানিক আকন সাংবাদিকদের জানান, ২০১৭ সাল থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলের রোষানলের শিকার তিনি। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কারণে তার ব্যবসা গুটিপয়ে নিতে হয়েছে। এছাড়া তার পৈত্রিক বাড়িটিও দখলের পায়তারা করছে সন্ত্রাসীরা। তিনি বলেন, সাগর বর্তমানে ইতালি আছেন। সেখান থেকেই তার লোকজনকে নির্দেশ দিচ্ছেন। সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর সাগরের লোকজন তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ হলে নিজ বাড়িতে ভয়ে যেতে পারছেন না।

মানিক আরো বলেন, গত ৪ নভেম্বর রাতে ফেসবুকে তাকে দেখে নিবে বলে স্টাটাসও দেয় সাগর। এতে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায ভুগছেন। সাগরের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কিন্তু ক্ষমাতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ে তার সুসম্পর্ক থাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়না পুলিশ। মানিক আরো বলেন, টেকেরহাট এলাকায় সাগরের বড় ধরনের মাক সিন্ডিকেট রয়েছে। জীবনী নামের এক নারী মাদক স¤্রাজ্ঞী। ওই নারীর স্বামী ভোমরা সীমান্ত এলাকায় থাকে। সেখান থেকেই মূলত মাদক সরবরাহ করে আসছে। টেকেরহাট এলাকায় সরাসরি মাদক না এনে পার্শ¦বর্তী এলাকায় গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল এনে এলাকায় যুবকদের মধ্যে বিক্রি করছে। যা এখন ওপেন সিক্রেট। মাদক সরবরাহ যারা করে তারা হলো- কালু, সুমন, সৌরভ, জিয়া, আসাদ, বাচ্চু ও শাহিন। এই মাদকের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় মানিককে এলাকা ছাড়া করতে ওই চক্রটি মরিয়া হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা দিতে সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী মানিক আকন।
এ বিষয়ে রাজৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, কেউ সুনর্দিষ্টভাবে অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানিকের মামলা নেওয়া হয়নি বিষয়টি সত্য নয়। এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।