ঢাকা রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


টেকনাফে বিজিবি’র সাথে বন্দুকযুদ্ধে ০২ জন ইয়াবা কারবারী নিহত


২৫ জুলাই ২০২০ ১৮:৫৮

ছবি সংগৃহীত

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ২৪ জুলাই ২০২০ তারিখ রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ মোচনী লবন মাঠের নিকটস্থ ছ্যুরিখাল এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ লেদা বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত এলাকায় দ্রুত গমন করে মোচনী লবন মাঠ এলাকার ছ্যুরিখাল এবং বিএসপি’র মধ্যবর্তী স্থানের এমজি পোষ্ট সংলগ্ন এলাকায় নাফ নদীর তীরে অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ২৩১০ ঘটিকায় টহলদল দূর হতে ০২-০৩ জন ব্যক্তিকে সাঁতরিয়ে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। বর্ণিত ব্যক্তিরা সাঁতরিয়ে নদীর কিনারায় উঠার সাথে সাথে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি’র উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই পাচারকারীরা নদীর তীরের নিকটবর্তী কেওড়া জঙ্গলের আঁড় ব্যবহার করে নিরাপদ অবস্থান নেয়। তাৎক্ষণিকভাবে টহলদল কৌশলগতভাবে তাদের দিকে ধাবিত হলে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করতে থাকে। ফলে ০৩ (তিন) জন বিজিবি সদস্য আহত হয়। এ সময় বিজিবি’র টহলদলটি সরকারী সম্পদ এবং নিজেদের জান ও মাল রক্ষার স্বার্থে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ০৪-০৫ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এই সময়ে কতিপয় ইয়াবা কারবারী গুলি করতে করতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে খাল ও কেওড়া জঙ্গলের আঁড় ব্যবহার করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। গোলাগুলির শব্দ থামার পর টহলদলের সদস্যরা উক্ত এলাকা হতে ০২ (দুই) জন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের জরুরী চিকিৎসা সেবা প্রদান করার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে আহত ব্যক্তিদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে অবস্থানরত কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। উল্লেখ্য, বর্ণিত এলাকাটি তল্লাশী করে ৬,৩০,০০,০০০/- (ছয় কোটি ত্রিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ২,১০,০০০ (দুই লক্ষ দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের নিকট থেকে ০১ (এক) টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ০১ (এক) রাউন্ড তাঁজা কার্তুজ এবং ০১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ থাকে যে, নিহতের সঙ্গীয় ইয়াবা কারবারী পালিয়ে যাওয়ায় তার সম্পর্কে কোন ধরণের তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নিম্নেবর্ণিত পরিচয় পাওয়া যায়ঃ

ক। মোঃ ফেরদৌস (৩০), পিতা-হাবিব উল্লাহ, ১নং বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির, ব্লক-এইচ/৩৯, উখিয়া, কক্সবাজার।
খ। মোঃ আব্দুস সালাম (৩৫), মৃত-সৈয়দ আহমদ, ১নং বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির, ব্লক-এইচ/২০, উখিয়া, কক্সবাজার।

উক্ত ঘটনায় আহত বিজিবি সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। সরকারী কর্তব্যে বাধা প্রদান এবং অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।