ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


মিরপুর হাজরাহাটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে দপ্তরি নিয়োগের অভিযোগ


৯ জুলাই ২০২০ ০৩:৩৯

ছবি সংগৃহীত

কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার হাজরাহাটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি ও প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর অবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। সরকারী সকল নিয়ম নীতি লংঘন করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দপ্তরী নিয়োগ প্রদান ও অর্থ আত্মসাধের অভিযোগ পাওয়া গেছে হাজরাহাটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলামের ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন, এর আগেও একই ভাবে তিনি সরকারী সকল নিয়ম নীতি লংঘন করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নেন। পরে দুর্নীতির দায় স্বীকার করে আংশিক অর্থ ফেরৎ দেন প্রতিষ্ঠানকে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, শহিদুল ইসলাম বলেন, এই দপ্তরি পদের জন্য আবেদন পরে ৪টি, আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল মোট তিন জন, একজন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি, তিনজনের মধ্যে একজনকে বর্তমান কমিটির পাঁচ সদস্য তাকে নিয়োগর জন্য সুপারিশ করেছেন দপ্তরি পদের জন্য। তিনি আরো দাবী করেন, তাদের পরীক্ষা নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ , উপজেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার ও কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক তারাও স্থানীয় প্রার্থী রুবিনা খাতুন এর জন্য সুপারিশ করেছেন। এদিকে একটি সুত্রে জানা যায়, জামাল, আয়নাল, ফজলুল হক বাবু ও জান মোহাম্মদ ওই নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ছিল।
স্কুল কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম দাবি করেন বাকি দুই প্রার্থীর থেকে রুবিনার যোগ্যতা বেশি। তার নিজের যোগ্যতাবলেই এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। ওই প্রতিষ্ঠানে অর্ধনরত একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধেশিক্ষা অফিসে বরাবর অভিযোগ করার পরেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
অভিযোগে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাত, নিয়োগ বাণিজ্য এবং সভাপতি শহিদুল ইসলাম লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে। এই নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হায়দার প্রতিবেদককে জানান, আমাদের হাতে নিয়োগ দেয়ার কোন ক্ষমতা নেই, আমরা শুধু প্রার্থীর মৌখিক কোথায় শুনে থাকি, নিয়োগ দেওয়া না দেওয়ার ক্ষমতা পুরোটাই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির হাতে। আমরা শুধু একজন সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকি।
এই ব্যাপারে হাজরাহাটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদকে স্কুলে যেয়ে পাওয়া যায়নি, তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাজরাহাটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি নিয়োগের এক প্রাথী জানান আমার সাথে স্কুল কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলামের প্রথমে পাঁচ লক্ষ পরে আবার একলক্ষ বেশি বললেও আমি ছয় লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়েছিলাম কিন্তু রুবিনার স্বামী রতনের সাথে সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয়ে তাদের কেই নিয়োাগ দেয়া হয়েছে। স্কুলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও য়ানীয়রা স্কুল কমিটি ও স্কুল প্রধানদের এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। আরও জানা যায়, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম তার ছেলে রাজু আহমেদকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই বিদ্যালয়ে ক্লাক পদে চাকুরী দিয়েছিলেন।