ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬শে আগস্ট ২০২৫, ১২ই ভাদ্র ১৪৩২


মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে খুন


৮ জুলাই ২০২০ ২১:৪৮

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে খুন হয়েছে। আর স্ত্রী ও সন্তানকে ছুরিকাঘাত করে নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করেছেন স্বামী হারেস মিয়া।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টায় ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকাস্থ শাহ আলমের ভাড়াটিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহাগ (১৫) হারেস মিয়ার ছেলে। আর আহত হারেস (৫৫) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪২)।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের রিকশাচালক হারেস মিয়া স্বপরিবার নিয়ে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল শাহ আলমের টিনের তৈরি ভাড়াটিয়া ঘর নিয়ে ভাড়া হিসেবে বসবাস করছে। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম স্থানীয় একটি মিনি গার্মেন্টে চাকরি করে। আর ছেলে সোহাগও স্থানীয় একটি গার্মেন্টে চাকরি করে। আর মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। হারেস তার স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করে। এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের সংসারে ঝগড়া সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে হারেস মিয়ার হাতে থাকা দাঁড়ালো ছোরা দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করে। পরে মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। তখন হারেস তার ছেলে সোহাগকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে হারেস নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করে। এসময় তাদের চিৎকারে অপর ঘরে থাকা মেয়ে বিথী ঘুম ভেঙ্গে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে সোহাগসহ হারেস ও মনোয়ারা বেগমকে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পরে সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে স্বামী স্ত্রী। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। মারা যাওয়া সোহাগের লাশ উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।

নিহত সোহাগের ছোট বোন বিথী জানান, তার বাবা তার মাকে সন্দেহ করে। এ নিয়ে সংসারে প্রায় সময় ঝগড়া হয়। মঙ্গলবার রাতে তার বাবা বাসায় এসে ঝগড়া করে তার মাকে ছুরিকাঘাত করে। তার মাকে বাঁচাতে যায় তার ভাই সোহাগ। পরে তার বাবা সোহাগকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তার মা, বাবা ও ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।