পুলিশের উপস্থিতিতে দৌলতপুরে স্বামীর বাড়ীর মালামাল লুট করেছেন স্ত্রী

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতখালী মাদার্সাপাড়া গ্রামের মুন্টুর ছেলে ফাজিলের বাড়ীর মালামাল লুট করে নিয়েছেন স্ত্রী এমন সংবাদের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে গেলে স্বামী ফাজিল দাবি করেন আমাদের সংসারে ছোট খাটো ঝগড়া হয়ে সাথে সাথে আমার শাশুড়ি তেড়ে ঝগড়া করতে চলে আসে আমার শাশুড়ির এমন আচরনের কারনে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে আমার শাশুড়ি আমার বাড়িতে আসে এসে হঠাৎ ঝগড়া শুরু করে পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায়। হঠাৎ সন্ধ্যার সময় আমার শোশুর বিয়েজপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম দৌলতপুর থানা পুলিশের এ এস আই মামুন কে সাথে করে নিয়ে আসে। আমরা পুলিশ দেখে একটু সরে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে আমার ঘরে থাকা মালামাল নগদ ৩২ হাজার টাকা স্বর্ণালঙ্কার ও বেশ কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। আমরা কোন দেশে বাস করছি স্বামী - স্ত্রী ঝগড়া হলো আর পুলিশের উপস্থিতিতে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত করে আমি বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে ফাজিলের সফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার মেয়েকে জামায় মারা ধরে করে তাই পুলিশ নিয়ে গিয়ে মালামাল ও আমার মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি । সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, যে ওয়ার্ডে আপনার জামাইয়ের বাড়ি সেই ওয়ার্ডেই দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাড়ি আপনি কি চেয়ারম্যান কে বিষয়টা জানিয়ে ছিলেন এবং ঘটনার সমাধান না করে কি মালামাল তার বাড়ি থেকে আনা যায় । তখন তিনি বলেন না চেয়ারম্যান কে বিষয়টা আমি জানায়নি আমি সরাসরি থানায় গিয়েছি, এবং দারোগা মামুন সাহেব বললেন তাই মালামাল নিয়ে এসেছি। কেন দারোগা আপনাকে বলবে মালামাল নিতে এমন প্রশ্ন উত্তরে তিনি বলেন আমি অভিযোগ দেওয়ার সময় চার হাজার টাকা দিয়েছি। এ বিষয়ে এ এস আই মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থানে যায় গিয়ে মেয়েটাকে উদ্ধার করি মেয়েটা তার মালামাল নিয়ে এসেছে সেখানে দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উপস্থিতি ছিলেন তার উপস্থিতিতে মালামাল নিয়ে এসেছে। স্বামী- স্ত্রী ঝগড়া হলো আপনার কাছে সমাধানের জন্য অভিযোগ দিলো অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার উপস্থিতিতে কি কোন ব্যক্তিকি মালামাল নিয়ে যাওয়া কি আইনানুগ। তিনি জানান যার ঘরের টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে তার ঘরে মালামালি কি! আর লুটিবা কি আপনারা চেয়ারম্যান এর কাছে জানেন বুঝতে পারবেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি বিষয়টি জানতাম না যখন পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ির মালামাল ফাজিলের স্ত্রী ও শোশুর ভ্যান গাড়িতে সাজাতে শুরু করেন তখন ফাজিল আমার কাছে ছুটে আসেন আমি গিয়ে দেখি ঘরের অধিকাংশ মালামাল গাড়িতে বেধে ফেলেছে।ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক আমি বর্তমান রানিং চেয়ারম্যান এবং যেখানে ঘটনা সেই ওয়ার্ডে আমার বাড়ি আমাকে না জানিয়ে সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে একটি বাড়ির মালামাল কিভাবে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ জানান বিষয়টি আমি জানলাম তদন্ত করে দেখবো।