অসহায় প্রতিবন্ধী শিশুর পাশে দাঁড়ালেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার

কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার, এস.এম.তানভীর আরাফাত, কুষ্টিয়া জেলার মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা।। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে তিনি কুষ্টিয়া জেলার প্রতিটি মানুষের পাশে থাকার জন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন।। অসহায় মানুষদের প্রতিদিন খাবার দেয়া,, গর্ভবতী মহিলাদের পুলিশের গাড়ীতে করে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া, করোনা আক্রান্ত কেউ মারা গেলে পুলিশ নিজ উদ্দ্যোগে তার দাফন করে দেয়া,থেকে শুরু করে সব সময় সাধারন মানুষের পাশে আছেন। কুষ্টিয়াতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবার কারণে আজ ২৫/০৬/২০২০ থেকে পুনরায় লক ডাউন কার্যকর হয়।। এই লক ডাউনে মানুষ যেন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হয়, এবং শহরে প্রবেশে বেরিকেট দিয়ে পুলিশ সাধারন মানুষকে করোনা থেকে বাঁচানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ সুপার নিজে, সকালে শহরের বিভিন্ন জায়গায় যান এবং সাধারণ মানুষকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ বাড়ির বাইরে বের না হয়, সে বিষয়ে নিজে সকলের কাছে অনুরোধ করেন। সে সময় মাননীয় পুলিশ সুপার দেখেন, একটি প্রতিবন্ধী শিশুকে নিয়ে যাচ্ছে তার মা।। শিশুটির মুখে মাস্ক নেই।। পুলিশ সুপার নিজে প্রতিবন্ধী শিশুটির মুখে মাস্ক পরিয়ে দেন এবং তার পরিবারের ০৭ দিন খাবার খরচ দেন। এবং প্রতিবন্ধী শিশুর মা'কে বলেন, ০৭ দিন যেন তারা বাড়িতে থাকেন। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ০৭ দিন পরেও যদি তাদের কোন সমস্যা হয়, বিষয়টি যেন তাকে জানাই। তিনি তাদের পাসে থাকবেন।। পুলিশ সুপার মহোদয় নিজে প্রতিবন্ধী শিশুর মুখে মাস্ক পড়িয়ে দেন, তিনি আসলেই মানবতার ফেরিওয়ালা।। পুলিশ সুপার আরো বলেন, "সবার উপরে মানুষ সত্য" আমার কাছে সবাই সমান।। দেশের এই সংকটপূর্ণ মুহূর্তে, আমি, এবং জেলা পুলিশ সার্ধ্যমত সাধারন মানুষের পাশে ছিলাম এবং থাকবো।।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাসহ পুলিশের একাধিক সদস্য।