ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


শাহজাদপুরে বাঁধ ভেঙ্গে ৫ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত, গোঁ খাদ্যের সংকট


২৬ জুন ২০২০ ০১:০৬

ছবি সংগৃহীত

নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ড্রেজারের বালু দিয়ে তৈরি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতারা স্লুইস গেট সংলগ্ন ১ হাজার ২৫০ মিটার রিং বাঁধ ভেঙ্গে ৫ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বন্যার পানির চাপে এটি ভেঙ্গে গেছে।

এতে শাহজাদপুরসহ চলনবিল অঞ্চলের পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ ও বগুড়া জেলার শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, চাটমোহর, সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, শেরপুর, নন্দিগ্রাম, রানীনগর ও আত্রাই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এতে তেমন ফসলহানি না হলেও শুকনো খড়, সবজি ক্ষেত ও বিস্তীর্ণ গো-চারণ ভূমি আগাম বন্যার ডুবে গোঁ খাদ‍্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

গত ২০ বছর ধরে প্রতি বছরই ফসল রক্ষার নামে এই বালুর বাঁধ নির্মাণ করা হয়। প্রথম দিকে এর ব্যয় ৯৯ লাখ টাকা হলেও গত কয়েক বছর ধরে এ ব্যয় বেড়ে প্রায় দেড় কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকার হরিলুট হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম স্থানীয়দের এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ কাজে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। সিডিউল অনুযায়ী কাজ হয়েছে। শাহজাদপুরসহ চলনবিল অঞ্চলের ফসল রক্ষার্থে গত ২০ বছর ধরে অস্থায়ীভাবে এ বাঁধটি নির্মাণ করা হয়ে থাকে।

এই বাঁধের মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ৩১ মে পর্যন্ত। এ অঞ্চলের জমি থেকে সব ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। ফলে বাঁধটি ভেঙ্গে গেলেও কৃষকের কোনো ক্ষতি হয়নি।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুস সালাম বলেন, এ বছর বাঁধটির নির্মাণকাজ অনেক দুর্বল হলেও আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়ায় বড় ধরনের ফসলহানি হয়নি।

বুধবার দুপুরে সরেজমিন রাউতারা স্লুইসগেট সংলগ্ন রিং বাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের লোকজন ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের বাঁশ খুঁটি যে যার মতো তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বাঁধের ৩টি পয়েন্ট দিয়ে হু হু করে বন্যার পানি বাঁধের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। আগাম এ বন্যার পানিতে অধিকাংশ নিচু জমি, কাঁচা রাস্তাঘাট ও নিচু বাড়িঘর ডুবে গেছে।