ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


মেরামতের অবহেলায় ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট


২৩ জুন ২০২০ ১৯:২০

ছবি সংগৃহীত

মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও মেরামত করা হয়নি ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট। নদীতে জোয়ার এলেই তলিয়ে যায় ফেরিঘাট। এ কারণে ফেরি থেকে গাড়িই উঠা-নামা করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রতিদিন গড়ে ৩/৪ ঘণ্টার ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী-পরিবহন শ্রমিক ও ফেরি কর্তৃক্ষকে।

ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট মেরামতের ব্যাপারে বার বার অবহিত করা হলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে অভিযোগ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিটিসি) কর্তৃপক্ষের।

সরেজমিন ঘুরে দেখাযায়, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিস। এই রুট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে গাড়িগুলো তাতে করে। গত এক মাস ধরে ভোলার ইলিশা ঘাটটি এখন ব্যবহারের অনেকটাই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর আর মেরামত হয়নি পন্টুন। এ কারণে দুর্ভোগের শিকার হয় মানুষ। বিশেষ করে নদীতে জোয়ার এলে তলিয়ে যায় পুরো ঘাট। পানির কারণে ফেরি থেকে কোনো যানবাহন উঠা-নামা করতে না পারায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে অনেকেই।


ভুক্তভোগী গাড়ির ড্রাইভার মাকসুদ, আলামিন ও সিহাব বলেন, গত ৩/৪দিন ধরে ঘাটে বসে আছি ফেরিতে যেতে পারছি না, ট্রিপ কমে গেছে। আমাদের পরিবহনে নারিকেলসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

এদিকে হাইওয়াটার ঘাট না থাকায় জোয়ার-ভাটা ওপর নির্ভর করে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার অধিক সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। এতে কমে গেছে ফেরির ট্রিপ। ফলে উভয় পাড়ে শত শত যানবাহনের দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ভোলা বিআইডব্লিটিএর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ইলিশা ঘাটটি মেরামতে আমরা কাজ করেছি, খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।