রায়পুরায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৬ জন আহত

নরসিংদীর রায়পুরায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক মরজাল ইউপি সদস্য ছাইদুজ্জামান বাদল ও প্রতিবেশি আব্দুর রহিমের মধ্যে এ সংঘর্ষে একই পরিবারের ৬ জনসহ ৯ জন আহত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মরজাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা - একই ইউনিয়নের মরজাল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী হুসনে আরা (৮০), ছেলে মো. জুয়েল মিয়া (৪০), দুই মেয়ে সুরমা আক্তার (৩৫), গুলশান আরা (৩৩), বড় ছেলে ছাইদুজ্জামান বাদলের পুত্র আশিকুজ্জামান তুষার (২৩) ও ভাগ্নে সিয়াম (১২)। অপরদিকে এই ঘটনায় আব্দুর রহিম (৫৫), তার স্ত্রী হেলেনা (৪৮) ও ছেলে মো. শামীম (২৫) আহত হন।
এদিকে গুরুতর জখম হুসনে আরা, জুয়েল, আশিকুজ্জামান ও সিয়ামকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান স্বজনরা, আশিকুজ্জামানের মাথায় ও ঘাড়ে দুটি অস্ত্রোপাচার, সিয়ামের মাথা অস্ত্রোপাচার শেষে আইসিউতে রাখা হয়েছে। দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বাকি দুইজন নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে ছেন।
অপরদিকে আহত রহিম, হেলেনা ও শামীমকে তার স্বজনরা রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে ডাক্তার রহিম ও শামীকে ঢাকায় পাঠানো হয় এবং হেলেনা চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনায়র পর আজ শুক্রবার বিকালে ছাইদুজ্জামান বাদল বাদী হয়ে আব্দুর রহিম, তার স্ত্রী ও ছেলেসহ অজ্ঞাতনাম ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে গুলশান আরা বলেন, আব্দুর রহিম তার লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাই জুয়েলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রথমে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে জুয়েলকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আমাকেসহ আমার মা, বোন, বড় ভাই ও বোনের ছেলেকে কুপিয়ে মারত্মভাবে জখম করে।
তিনি আরো বলেন, ভাতিজা আশিকুজ্জমান ও ভাগ্নে সিয়াম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে আছেন। এই দিকে আব্দুর রহিমের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পর পরিবারে বাকি সদস্যরা গা ঢাকা নিয়েছে বলে জানান তার প্রতিবেশিরা।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।