প্রবাসী স্বামীকে অন্তরঙ্গ ছবি পাঠানোই কাল হলো গৃহবধূর

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের ছগরীপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম জেসমিন আক্তার (২৩)। তিনি উপজেলার ঘাসিয়াল গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে।
নিহতের পরিবার জানায়, আট বছর আগে ছগরিপাড়া গ্রামের মৃত. আব্দুল মালেকের ছেলে বাবলুর সঙ্গে বিয়ে হয় ঘাসিয়াল গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে জেসমিন আক্তারের। তাদের সংসারে জিহাদ ও মরিয়ম নামে দুটি সন্তান রয়েছে।
গেল এক বছর আগে বাহারাইন প্রবাসী স্বামীকে পাঠানো কিছু অন্তরঙ্গ ছবি গৃহবধূর মোবাইল থেকে ননদ তাসলিমা আক্তারের স্বামী ওয়াসিম চুরি করে নিয়ে যায়। এ ছবি দিয়ে তাকে ও তার স্বামী বাবলুকে ব্লাকমেইল করতে থাকে। এ ঘটনা জানাজানি হলে শাশুড়ি, ননদ, দেবর মিলে গৃহবধূকে দফায় দফায় নির্যাতন করে। এ ঝামেলা মিটাতে দেড়মাস আগে স্বামী বাবলু বাহারাইন থেকে দেশে আসে। পরে গেল ২১ মার্চ বাবলু বাহারাইন পাড়ি জমান।
নিহতের বাবা মানিক মিয়া ও ভাই জসীম জানান, জেসমিনকে তার শাশুড়ি আলেয়া বেগম, ননদ তাসলিমা আক্তার, ননদের স্বামী ওয়াসিম, দেবর নজরুল, সাইফুলও বড় ননদের ছেলে রিয়াদ মিলে হত্যা করে।