নারায়ণগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে আরও একজনের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকায় একটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ দগ্ধ গৃহবধূ ফেরদৌসী বেগম ৪ দিনপর মারা গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোররাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে এ ঘটনায় দুইজন নিহত হলো। ঘটনার দিন তোফাজ্জল হোসেনের আট মাস বয়সী ছেলে আহম্মদ মারা যায়। তার নয় বছর বয়েসি ছেলে মোহাম্মদ হোসেন এখনো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গত ২৭ মার্চ শুক্রবার ভোররাতে বাবুরাইল বটতলা এলাকার স্থানীয় ইট বালুর ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে এই মর্মান্তিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিলো।
তোফাজ্জল হোসেনের খালাতো ভাই রাকিব উদ্দিন জানান, গত শুক্রবার ভোর রাতে তোফাজ্জল হোসেন (৫০) ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৩০), তাদের তিন সন্তান হালিমা বেগম (১১), মোহাম্মদ হোসেন (৯) ও আট মাসের শিশু সন্তান আহাম্মদকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
তিন সন্তান নিয়ে ফেরদৌসী ছিলেন এক কক্ষে আর তোফাজ্জল হোসেন ছিলেন পাশের কক্ষে। ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে বিকট শব্দে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হলে বাড়ির দেয়াল ধসে পড়ে। এতে দেয়াল চাপা পড়ে পবিরারের পাঁচজনই গুরুতর আহত হন। তাদের ঘরের আসবাবপত্র সব চুরমার হয়ে যায়। বিস্ফোরণের শব্দে এলাকাবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আট মাসের শিশু আহাম্মদকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তী করা হয়। আহতদের মধ্যে ফেরদৌসী বেগম ও তার দুই ছেলে মেয়েকে আইসিউতে রাখা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকার সড়কের নীচে গ্যাস পাইপের লিকেজ থেকেই তোফাজ্জল হোসেন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের বিস্ফোরণ হয়েছে। একই সময়ে পাশের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকও বিস্ফোরণ হয়েছে তবে কেউ হতাহত হননি।
এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের হোসেন জানান, এই গ্যাস পাইপ লিকেজের ব্যাপারে ইতিপূর্বে তিতাস কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার জানানো হয়েছে। তবে তারা সেটি মেরামতের ব্যবস্থা নেয়নি। যার কারণে বিভিন্ন পয়েন্টে লিকেজ থেকে নির্গত গ্যাসে মানুষের ফেলে দেয়া বিড়ি সিগারেটের আগুন থেকে প্রায়ই ছোটখটো অগ্নিকান্ড ঘটে থাকে।
মঙ্গলবার সকাল দশটায় এক নং বাবুরাইল মুন্সিবাড়ি মসজিদে নিহত ফেরদৌসি বেগমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নতুনসময়/আইকে