হান্নানস্ সুইম সেন্টারে ২০০ টাকায় সারাদিন

জলে ডুব দিতে বা সাঁতার কাটতে কার না ভাল লাগে? কিন্তু রাজধানী ঢাকাতে সাঁতার কাঁটার জন্য নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। যার ফলে নতুন প্রজন্মের অনেকের নেই সাঁতারের সাথে পরিচয়। এমনকি সাঁতার কিভাবে কাঁটতে হয় জানে না অনেকেই। রাজধানীবাসীর এমন অবস্থায় তিনশ ফিট আশিয়ান সিটি হাসপাতালের পাশে গড়ে উঠেছে ঢাকার অন্যতম বড় একটি সুইমিংপুল। খোলা আকাশের নিচে নীল জলের বিশাল সুইমিংপুলটি যে কোন মানুষকে মুহুর্তের মধ্যেই যান্ত্রিকতা থেকে বের করে পরম প্রশান্তিতে মুগ্ধ করে দিতে পারে। শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুইমিংপুলের নাম হান্নান সুইমিং সেন্টার।
এ বিষয়ে কথা হয় সুইমিংপুলের তরুণ উদ্যোক্তা জাহিদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, ছোট বেলায় অনেকটা সময় পার করেছি পুকুর বা বিলে সাঁতার কেটে। বর্তমানে পুকুর বা খাল ভরাট হবার ফলে দূরন্ত শৈশব অনেকেই বুঝতে পারে না। আমার মেয়েকে নিয়ে কয়েক বছর আগে একটি সুইমিংপুলে যাই। সেখানে ছোট্ট একটি সুইমিংপুলে এক ঘন্টা সাঁতার কাটার জন্য আমাকে দিতে হয়েছিল ৩ শত টাকা। বিষয়টি আমার মনে দাগ কাটে। তখন থেকে ভিন্নধর্মী কিছু করার ইচ্ছা মনের ভিতর তৈরি হয়। কোন প্রকারের বাণিজ্যিক চিন্তা না করে নিজেদের জায়গায় একটি ওয়ার্টার পার্ক তৈরির পরিকল্পনা নেই। অনেক বাধা পেরিয়ে ২০১৮ সালের পহেলা বৈশাখ হান্নান সুইমিং সেন্টারের যাত্রা শুরু করি।
তিনি আরো বলেন, আগামীতে এখানে আরো বড় পরিসরে আধুনিক একটি ওয়ার্টার পার্ক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে খুবই স্বল্প খরচে এখানে বিয়ে, পিকনিক ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হান্নান সুইমিংপুলে খুবই উৎসাহে বিভিন্ন বয়সের অনেকে জলে সাঁতার কাটা উপভোগ করছে। গানের তালে তালে পানিতে সাঁতার কাটায় যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এখানে মাত্র দু’শত টাকায় সারাদিন সাঁতার কাটার সুযোগ রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় সুস্থ পরিবেশ রক্ষায় এখানে রয়েছে এক ঝাঁক কর্মী।
যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছু সময়ের জন্য মুক্তি পেতে চাইলে যে কেউ সপ্তাহের সাত দিনই হান্নান সুইমিং সেন্টারে জলকেলি করতে পারেন।
যেভাবে আসবেন : দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে রাজধানীর খিলক্ষেত নেমে অটো বা সিএনজিতে আশিয়ান সিটি হাসপাতাল বা দৈনিক মাবনকণ্ঠ অফিসের পাশে এলেই পেয়ে যাবেন হান্নান সুইমিং সেন্টার।