‘নো এক্সাম ’ উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বিশ্বসাহিত্য ভবন প্রকাশনীর প্যাভিলিয়ন ২৪ এর সামনে ‘নো এক্সাম No Exam’ উপন্যাসটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিখ্যাত সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ, সি.এস.সি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষা সৈনিক অজয়কুমার সরকার স্যার, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মশিউর রহমান, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগসহ অনেক সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মী এবং কবি ও সাহিত্যিক, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ ও শিক্ষকমণ্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একটি গবেষণাধর্মী মুক্তিযুদ্ধের আদর্শনির্ভর সমাজবিক্ষণমূলক উপপন্যাস ‘নো এক্সাম No Exam’ বর্তমান সময়ের দাবির ¯সার্থক চিত্রায়ণ এ উপন্যাস। বাংলাদেশের সর্বস্তরের পাঠক বিশেষত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক, পিতামাতা, শিক্ষকদের একান্ত মনের কথা এ উপন্যাসে গাল্পিক আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
পরীক্ষানির্ভর এ শিক্ষাব্যবস্থা পচা দুর্গন্ধযুক্ত পদ্ধতি। তাই প্রোডাক্টগুলোতে অল্পতেই পচন ধরে, ফলে এ শিক্ষা সোনা ফলাতে পারে না। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। তাই মেরুদণ্ডের ব্যাধিসম পরীক্ষানির্ভর এ শিক্ষাপদ্ধতি যত দ্রুত বাদ দেওয়া হবে ততই মঙ্গল। ব্যাধিহীন মেরুদণ্ড নিয়ে বাঙালি দ্রুত সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শভিত্তিক সমাজবিক্ষণমূলক এ উপন্যাসে বাংলাদেশের শিক্ষা ও অর্থনীতির ভঙ্গুর ভিত্তির কারণসমূহ বিশ্লেষণপূর্বক যুগোপযোগী সর্বোচ্চ সমাধান একটি মৌলিক নান্দলিক গল্পের মুকুটপরে রূপক ও চিত্রকল্পের ডানার রঙের সমন্বয়ে এক দার্শনিক বিমূর্ত মূর্তি দাঁড়িয়ে গেছে। মানবতার আদর্শে মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে সে মূর্তিতে শিক্ষা ও অর্থনীতির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা যোগ করলেই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।
এ উপন্যাসে সমাজের যে প্রতিবিম্ব প্রতিফলিত হয়েছে তাতে শিল্পীমনের ছোঁয়া স্পষ্ট। একটি চিন্তাশীল সাবলীল শ্রুতিমধুর এবং প্রাঞ্জল ভাষার সুখ পাঠ্য উপন্যাস ‘নো এক্সাম No Exam’ যা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নীতিনির্ধারকসহ সর্বস্তরের পাঠকের পড়া দরকার বলে মনে করেন অনুষ্ঠানে আগত প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য আলোচকগণ।
