স্ত্রী-পুত্র ফেলে সুন্দরী ললনা নিয়ে উধাও তবলাবাদক বাবু
দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে সম্প্রতি কিছু কিছু সাংস্কৃতিক কর্মী কলুষিত করে আসছে এবং তারা গান-বাজনার নামে অপসংস্কৃতি চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা তাদের অনেকেই স্ত্রী-পুত্রসহ পরিবারের সদস্যদের সাথে ভালো সম্পর্ক যাচ্ছে না। এমন একটি ঘটনা সম্প্রতি মিডিয়াতে চাউর হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার খিলগাঁও থানায় দায়ের করা এক মামলায় এজাহারে জানা যায়, জনৈক রবিউল হাসান পাটোয়ারী ওরফে বাবু( তবলা বাদক) স্ত্রী-পুত্রকে ছেড়ে আনিশা নামের জনৈক কন্ঠ শিল্পীর সাথে লাপাত্তা হয়েছেন। খিলগাঁও থানাধিন তিলপা পাড়ার বাসিন্দা জনৈকরোমানা আক্তার ওরফে পুতুল নামের জনৈক গৃহবধূরর এজাহার থেকে জানা যায় যে তার স্বামী একজন তবলাবাদক। ঢাকা শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সুন্দরী ললনাদের নিয়ে অনৈতিক কার্যক্রম করে থাকে। এব্যাপারে গৃহবধূ পুতুল বাঁধ সাধলে তাকে প্রায়ই নাকি মারধর করা হতো, পরবর্তী পর্যায়ে তাকে মারধর করে তার বাবার গৃহনির্মাণের জন্য বাসায় রক্ষিত নগদ ১০লক্ষ টাকা এবং গৃহবধূর তিন লক্ষ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার নিয়ে আনিসা নামে এক সুন্দরী ললনার সাথে পালিয়ে যায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানাধিন মালাপাড়া গ্রামের হান্নান পাটোয়ারির ছেলে তবলাবাদক রবিউল হাসান এর সাথে ১৫ বছর আগে ঢাকার খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকার রোমানা আক্তার পুতুল নামে একজন কলেজ ছাত্রীর সাথে প্রেম করে বিয়ে হয়। তাদের সংসারের ৯ বছরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে পুতুল বাদী হয়ে গত ১৫ফেব্রুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁও থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন (১১- গ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক জগতের আড়ালে কয়েকজন সুন্দরী রমনীকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং এই কার্যক্রমের সাথে দেশের কতিপয় ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কিছু লোক জড়িত বলে জানা গেছে। পুলিশ মামলার আসামি কথিত রবিউল হাসান পাটোয়ারী ওরফে তবলা বাবুকে খুঁজছে।