ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


মানিকগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রথম দিনে 'দামাল ছেলে নজরুল'


৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:২৫

ছবি সংগৃহীত

আজ থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী-তে শুরু হচ্ছে মানিকগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী মানিকগঞ্জ উৎসব ২০২০।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আজ বিকেলে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এ.এম নাঈমুর রহমান দূর্জয়, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম,মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. গোলাম মহিউদ্দিন, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, স্থানীয় সরকারের অতি: সচিব জহিরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তাপস সরকার গৌর,অতি: সচিব সুশান্ত কুমার সাহা এবং সভাপতিত্ব করবেন মানিকগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি লেখক ও গবেষক জনাব মো: আজহারুল ইসলাম।

এদিন সন্ধ্যায় শাশ্বত জীবনসত্যের প্রত্যয়নিষ্ঠ ভাষক জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আত্ম-জীবনী নিয়ে মঞ্চ নাটক 'দামাল ছেলে নজরুল' মঞ্চস্থ হবে। নাটকটির রচনা করেছেন মাহমুদ উল্লাহ এবং নির্দেশনা দিয়েছেন নূর হোসেন রানা, কোরিওগ্রাফি করেছেন ইমন খান, আবহ সঙ্গীত বিকাশ,কস্টিউম ডিজাইন ইকবাল খান ও আফরোজা এবং সেট ডিজাইন করেছেন নির্দেশক নিজেই।

দামাল ছেলে নজরুলের' কেন্দ্রীয় নজরুলের চরিত্রে ইমন খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন, নূর হোসেন রানা,নিথর মাহবুব,আফরোজা,সোনিয়া, মৌটুসী,পুস্পিতা,ইকবাল, মোক্তার, মিলন, সমুদ্র,অহনা, মো:আলী,প্রদীপ কুমার ঘোষ, মহিদুল, শেখ জয়নুল, রহিম, মাসুদ ও শিশুশিল্পী আশা, ইয়াশফা প্রমুখ ।

নাটকটিতে দেখা যাবে নজরুল ছেলে বেলায় বাবাকে হারিয়ে নিদারুণ কষ্টের মাঝে ছোটবোন কুলসুম আর মাকে নিয়ে ক্ষুধা, তৃষ্ণা সহ্য করে বড় হয় নজরুল। মসজিদের ইমামতি করে সংসার চালাতে কস্ট হয় বলে, লেটোদলে কাজ নেয় নজরুল। সেখানেও ঠিকমতো পয়সা না পেয়ে রুটির দোকানে কাজ শুরু করেন। এভাবেই বাউন্ডলের মত জীবন চালনার জন্য মায়ের বকুনি আর বিবেকের তাড়নায় ইন্সপেক্টর কাজী রফিজুল্লাহ সাহেবের বাড়ি ময়মনসিংহে লজিং থেকে আবারো পড়াশুনা শুরু করেন নজরুল। সেখানে তিনি লজিং বাড়ির মেয়ে সিতারার সাথে পরিচিত হন। একসময় সেখান থেকে আবার চলে আসে চুরুলিয়ায় মায়ের কাছে। ভর্তি হন রাণীগঞ্জে 'শিয়ারশোল' স্কুলে। এই স্কুলে থাকা অবস্থায় ইংরেজ তাড়ানোর কাজ শুরু করে নজরুল। চলে যায় যুদ্ধে, যুদ্ধের পাশাপাশি তাঁবুতে রাতের আঁধারে মাওলানা হাফিজের কাছে সাহিত্য চর্চা অব্যাহত রাখেন, অতঃপর সেখানে হাবিলদার নজরুল বাঙালি পল্টন ভেঙে দেওয়ার পর আবার কলকাতা এসে অন্যায়ের বিরুদ্ধে 'কলম' নামক 'অস্ত্র' হাতে নেন নজরুল। সাপ্তাহিক 'বিজলী' পত্রিকায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহী' কবিতা প্রকাশ পেলে নতুন করে সারাদেশে ঝড় তোলে। সে সময় নজরুল ইচ্ছা পোষন করেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে দেখা করার। এসব নিয়ে নাটকটির কাহিনী রচনা হলেও, এর মাঝেই রয়েছে- লেটোদলের গান, নাচ, আবৃত্তি, পালা, হাফিজের দিওয়ানসহ নজরুলের প্রতি সিতারা, রমাবৌদি, ঠাকুমা, অরুনাদি ও পিনাকিদের ভালবাসার গল্প।