ফেনীতে আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের মূলহোতা মিন্টুসহ গ্রেফতার ৪
-2020-01-30-22-04-59.jpg)
ফেনীতে সিএনজি চুরি, অঞ্জান পার্টি ও ডাকাত চক্রের মূলহোতা মিন্টুসহ জেলা গোয়েন্দার হাতে গ্রেফতার হয় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের মিন্টুসহ ৪ সদস্য।
কথায় আছে ডাকাতের ১০ দিন পুলিশের ১ দিন। অবশেষে ধরা পড়ল ৪ জন। ৩ জনের বাড়ী নোয়াখালী, ১ জনের বাগেরহাট। ফেনী সদরের বিভিন্ন স্থানে ভাটিয়া সেজে বসবাস করে ও দিনের বেলায় সি এন জি অটো রিক্সা ও টমটম চালিয়ে সময় কাটায় আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা । মূল কাজ ভিন্ন। গাড়ী চালানোর ফাঁকে ফাঁকে পূর্ব থেকে রেকি করে টার্গেট । সুবিধামত সময়ে টার্গেট করা বাড়ীতে জানালার ফাঁক দিয়ে চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে অথবা সুকৌশলে রান্না ঘরে খাবারে চেতনানাশক ঔষুধ মিশিয়ে বাড়ীর সবাইকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুন্ঠন করা। আজ এক থানার এ বাড়ীতে তো, কয়েকদিন পর অন্য থানার অন্য বাড়ীতে। ধরাই যাচ্ছিলনা।
আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতারের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরন্নবী বিপিএম, পিপিএম জানান, ফেনী জেলায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন থানা এলাকায় বিগত কয়েকমাস যাবত বাসা-বাডীর সদস্যদের অচেতন করে ডাকাতীর ঘটনা ঘটে। ডাকাতীর ঘটনা জানার পর থেকেই আমরা নানা কৌশলে ডাকাত সদস্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করি। কিন্তু ডাকাত সদস্যদের কোন ভাবেই আমাদের জালে আটক করতে পারছিলাম না। সবশেষে আমি ও আমার জেলার অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে সিদ্ধান্ত নিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখায় এ বিষয়টি স্থানান্তর করি এবং পরিশেষে আমাদের চৌকস গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তাদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে আজ আমরা সফল হই এবং এই ডাকাত দলের মূলহোতা মিন্টুসহ ৪ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হই।
জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, অজ্ঞান করে ডাকাতি করা এ চক্রকে ধরার জন্য পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী বিপিএম, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রবিউল হক'র তত্বাবধানে আমার নেতৃত্বে স্পেশাল দায়িত্ব দেন এ চক্রকে ধরার জন্য। পূর্ব পরিকল্পনা মত ডাকাত সর্দার সালাম সর্দারের নেতৃত্বে আগেই রেকি করা ফেনী সদরের রুহিতিয়া সাকিনের নুরুল আলম স্বপন মজুমদারের বাড়ীতে ২৯ জানুয়ারী রাত ২ টায় ডাকাতির প্রস্তুতি কালে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানা এলাকার মিন্টু (৪৮), মোশারফ হোসেন (৪৫), আব্দুল (৪৮) এবং বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার সালাম শেখ (৪৭) দের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পরিদর্শক নুরুজ্জামান, পরিদর্শক শাহীন মিয়া, এস আই মহিউদ্দীন ও এস আই মোতাহার হোসেন পিপিএম সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স কর্তৃক আটক করা হয়। বাকী সহযোগীরা পালিয়ে যায় রাতের আঁধারে।
অভিযান পরিচালনা শেষে আন্ত:জেলা ডাকাত সদস্যদের নিকট হতে থেকে ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ সহ ১ টি এল জি, ৩ টা অত্যাধুনিক ছোরা, ১ সিএনজি অটো, ২০০ গ্রাম চেতনানাশক ঔষুধ, ২ টা টর্চ লাইট, ২ টি মুখোশ, ২ টি তালা ও দরজা ভাঙ্গার রড, ২ টি স্ক্রু ড্রাইবার এবং ৩ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় ।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় ডাকাতি করার সময় বাধা আসলে প্রতিহত করার জন্য তারা সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখে।