আশুলিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ প্রভাবশালীরা

সাভারের আশুলিয়ায় একাধিক বার অবৈধ ভাবে নেয়া তিতাস গ্যাস উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না আইনগত শাস্তির ব্যবস্থা। দিচ্ছেন মামলা নিচ্ছেনা মামলার খবর নির্ভয় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন তারা। নিত্যদিনই রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার ও জনগণ। একই লাইন বিভিন্ন বার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা তবু যেন প্রশান্তি ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির, কারণ উচ্ছেদ করার পর টাকার বিনিময় আবারো মিলছে সংযোগ। এতে উৎসাহিত হচ্ছেন তরুণ ভুঁইফোড় রাজনীতিবিদ যারা সরকারের সম্পদ অবৈধভাবে সংযোগ দিয়ে সরকার দলের নাম ভাঙিয়ে হচ্ছেন গাঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। আর একই লাইন বিভিন্ন সময় সংযোগ নিতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ এতে করে যেমন সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব তেমনি সাধারণ জনগণ হারাচ্ছেন তাদের অর্জিত টাকা। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ হচ্ছেন প্রতারণার শিকার। সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অধীনস্থ কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় আশুলিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে নিচ্ছেন না তেমন কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা । আর সে কারণেই দুই একদিন পরই । আবারো সেই সংযোগ দিচ্ছেন প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি। এজন্যই নিত্যদিনের ব্যবসা নিয়ে বসেছেন অসাধু গ্যাস ঠিকাদার ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যারা কেউ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বা ইউপি সদস্য অথবা নব্য আওয়ামী লীগ বা দলীয় নাম ব্যবহার করে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা। যাহার প্রমাণ মিলবে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর, ইউসুফ মার্কেট, ঘোষবাগ, জিরাবো, নরসিংহ পুর ,সহ আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায়, এ ব্যাপারে ইয়ারপুর ইউনিয়ন নরসিংহ পুর সোনামিয়া মার্কেট হাজী মার্কেট হামিমের ৩ নং গেট এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে গেলে জানা যায়। তাদের এই লাইনগুলো একাধিকবার উচ্ছেদ করা হয়েছে কিন্তু এই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে আবারো দেয়া হয়েছে সংযোগ। অবৈধভাবে নেয়া গ্যাস সংযোগ একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নামধারী নেতা মুজিবুর রহমান শাহেদের নেতৃত্বে মোঃ সাইফুল ইসলাম(২৮) পিতা মৃত শহীদুল্লাহ, মনির মোল্লা, পিতা মোঃ জলিল হাজী, ও আশুলিয়া ইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন, পিতাঃ আলী হোসেন,এর মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে আবারো দেয়া হচ্ছে সংযোগ ।খোঁজ নিয়ে জানা যায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মুজিবুর রহমান শাহেদের আপন চাচাতো ভাই । তারই ধারাবাহিকতায় উপরোক্ত ব্যক্তিগণ আমাদের গ্যাস সংযোগ দিবে বলে ট্রিন সেট প্রতি বাড়ি থেকে দশ হাজার ও ছাদ পাকা বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা করে উত্তোলন করছেন। শুধু তাই নয় প্রত্যেক বাড়ির প্রতি রাইজার থেকে প্রতি মাসে দেয়া হয় পাঁচ শত টাকা। সে কারণেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ লাইন দিতেও ইচ্ছুক থাকেন তারা। কিন্তু এবার প্রায় চার শতাধিক বাড়িতে টাকা উত্তোলনের পর তারা আর এই গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন না। আমরা সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টের বিনিময় আমাদের অর্জিত টাকা তাদেরকে দিয়েছি কারণ শ্রমিক অধ্যুষিত এই অঞ্চলে সকলে বিভিন্ন কল কারখানায় কর্মরত তারা ডিউটি শেষে রাত্রি বেলায় এসে রান্না করার কষ্ট হয় সে কারণে আমরা এ কষ্ট লাঘব করার জন্য এদের শরণাপন্ন হই। সরকার আবাসিক বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বৈধভাবে দিচ্ছেন না বিধায় টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে তিতাস গ্যাস এর সংযোগ নিয়ে অতি কষ্টে জীবন পার করছি । এই সমস্ত লাইনে ব্যবহার হচ্ছে নিম্নমানের সরঞ্জাম যার কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে সাইফুল এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আপনারা যেটা সত্য সেটা লেখেন। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাভারে কর্মরত আবু সাদাত সায়েম মোল্লার সাথে কথা বললে তিনি বিভিন্ন সময় তার বক্তব্যে বলেন অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন সহ যারা অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু একাধিকবার বিচ্ছিন্নকৃত লাইন পুনঃ সংযোগ হয় কি করে এলাকাবাসী জানান সরকারি সম্পদ এইভাবে লুন্ঠন করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাচ্ছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রতারণার শিকার হচ্ছি আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও প্রশাসনের উপরোক্ত কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সরকারি সম্পদ রক্ষা ও সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফিরিয়ে এই সমস্ত অবৈধ সংযোগকারী দের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক আইনি ব্যবস্থার জোর দাবি জানাচ্ছি,
এবিষয়ে ৬নঃ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যর কাছে জানতে চাইলে এসব মিথ্যে বানোয়াট এরকম কিছু আমার জানা নেই।