সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ২০ দিনে দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাতাসর গ্রামের আসামি শামীম আহমেদ মামুনের সঙ্গে এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ভ্রমণ করার কথা বলে শামীম কৌশলে ছাত্রীকে কলেজ থেকে জাতীয় উদ্যানের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় সেখানে অবস্থানরত অন্যান্যরা তাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক জাতীয় উদ্যানের গহিন অরণ্যে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে শামীম এবং পরে তার সঙ্গী ফজলুর রহমান (২৪), আলী হোসেন (২৫), জুনেদ লতিফ (২৭) তাকে ধর্ষণ করে।

ঘটনার শিকার ছাত্রী (১৯) বাদী হয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে বলা হয়, এ সময় সিএনজি অটোরিকশা চালক আসামি আক্কাছ আলী পাহারায় ছিল। ধর্ষণের কারণে বাদী মারাত্মক আহত হন। আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর বাদী লোকালয়ে এসে চিৎকার করলে সাক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ নিয়ে আসলে তিনি আত্মীয়-স্বজনকে ঘটনা জানান।

এর আগে, ১১ ডিসেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়। চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নামুল হক বলেন, আগের ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়, তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ভ্রাম্যমাণ টিম আছে। আমরা অপ্রীতিকর কিছু দেখলে ব্যবস্থা নিই।

নতুনসময়/আইকে

---