ঢাকা রবিবার, ১৮ই মে ২০২৫, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


আশুলিয়ায় শ্রমিক নেতাকে হত্যার চেষ্টা


৮ জানুয়ারী ২০২০ ২১:৩৪

ছবি সংগৃহীত

রাজধানীর অদূরে সাভারের আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পাথালিয়া ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিক লীগ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর কাজী (৪০)কে হত্যার চেষ্টায় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তার স্ত্রী সুরমা আক্তার(৩২)

, উক্ত অভিযোগে আলমগীর হোসেন কাজী পিতা আব্দুর রহমান কাজী কে জমি সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জের ধরে , মোঃ রহমত কাজী (৪৭) তার স্ত্রী লাভলী বেগম আশুলিয়া জেলা ঢাকা সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৫ থেকে ৭ জন ব্যক্তি বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা উভয় নয়ারহাট এলাকার দুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

উক্ত অভিযোগকারী সুরমা আক্তার জানান।
জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় ও রাজনৈতিক কোন্দল এ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপরোক্ত ব্যক্তিগণ গত ৪/১২/২০১৯ ইং তারিখ বিকেল অনুমান তিন ঘটিকার সময় মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র লাঠি লোহার রড ও হকিস্টিক নিয়ে আমার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে। আমার স্বামী মোঃ আলমগীর হোসেন (৪০)ও পিতা আব্দুর রহমান কাজীর উপর হামলা করে। ২ নং বিবাদী লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্ন স্থান সহ ডান পায়ে এবং হাতে এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করিয়া মারাত্মক জখম করে। আসামির লোহার রডের আঘাতে আমার স্বামীর ডান পায়ে শুরু হতে হাটু পর্যন্ত হার এবং বাম হাতের কব্জির হাড় ভাঙ্গে এবং মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়।

এক নং বিবাদী আমার স্বামীর গলায় থাকা অনুমান এক ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য (৫০) হাজার টাকা এবং তার পরিহিত শার্টের বুক পকেট থেকে নগদ বিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ওই সময় আমার স্বামীর ডাক চিৎকারে আমাদের দুই ছেলে নিরব (১৬) ও নীড় (৬) আগাইয়া আসিলে দুই নং বিবাদী তাদেরকে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে নীলাফুলা জখম করে।
তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীগন আমার স্বামী সহ আমার সন্তানদের খুন জখম করার হুমকি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ওই সময় আমি ব্যক্তিগত কাজে আমাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যাই। আমাদের বাড়ির দিক হইতে আমার স্বামী ও সন্তানদের ডাক চিৎকার শুনিয়া আমি দৌড়াইয়া বাড়িতে আসিয়া জখম অবস্থায় আমার স্বামীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি।
পরে লোকজনদের সহায়তায় আমার স্বামীকে মারাত্মক জখম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।
আমার স্বামী দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করার পর গত ২২/১২/২০১৯ ইং তারিখ হাসপাতাল হইতে নিয়ে আসার পর। উপরোক্ত বিষয় আমি স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনদের নিকট বিচার প্রার্থনা করি।
কিন্তু বিবাদী গন গ্রাম্য লোকজনের বিচার অমান্য করে।
আমার স্বামীর চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং গণ্যমান্য লোকজনদের বিচারের অপেক্ষায় বিচার করতে বিলম্ব হয়। আমি ৫/০১/২০২০ ইং তারিখ আশুলিয়া থানায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
এ ব্যাপারে মোঃ রহমত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি আমলে না নিয়ে বলেন আলমগীর হোসেন আমার ছোট ভাই আমাদের পৈত্রিক সূত্রে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয় ।
এবং সে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমি ওকে একটি বাঁশ ছুরে মারলে আলমগীর কাজী একটি ওলের উপর থাকায় সেই ওয়ালের উপর থেকে লাভ দিয়ে নামতে গিয়ে পা ভেঙে যায়।
এলাকাবাসী জানান রহমত কাজী আসলে একজন খারাপ প্রকৃতির লোক সে একসময় আশুলিয়া থানা বিএনপি যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন ।
বর্তমানে ছোট ভাই আলমগীর কাজী আওয়ামীপন্থী জাতীয় শ্রমিক লীগের পাথালিয়া ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছেন
কেন আওয়ামী লীগের সাথে আছেন সেই জন্যই রহমত কাজী তার ভাইকে বিভিন্ন সময় জমিজমা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করত। সেই শত্রুতার জেরে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে আমাদের মনে হয়।
এবং রহমত কাজী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকজনের সাথে ঝগড়া ফ্যাসাদ লাগিয়ে থাকেন। আমরাও তার ব্যবহারে ক্ষুব্ধ।
রহমত কাজী তার ছোট ভাই আলমগীর কাজী কে যেভাবে মেরেছে এবং যে অবস্থা করেছে এটা কোন ভাই হয়ে ভাইকে করতে পারেনা ।
আমরা উপরোক্ত বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই নুরুল হুদা জানান আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।