মোহনপুরে এক মামলাবাজ মহিলার অতাচ্যারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি

রাজশাহীর মোহপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের ধোরশা গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে সাগরি খাতুন এলাকার নীরহ ও অসহায় মানুষের উপর একর পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে বিপদে ফেলে বাধ্য করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকার অসহায় মানুষ নিরুপাই হয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর প্রতিকার চেয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগি এলাকাবাসি।
অভিযোগ সূত্রে এবং সরজমিন এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহী জেলাধীন মোহনপুর উপজেলার ধোরশা গ্রামের আব্দুল মালেক মোসা: সাগরি খাতুন(২৫) গ্রামের নীরহ, গরিব, ও অসহায় মানুষের উপর মিথ্যে বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এহেন অন্যায় অবিচারের কোন ব্যাক্তি প্রতিবাদ করলে মামলাবাজ সাগরি ওই ব্যাক্তির নামেও মিথ্যে সাজানোর মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে। ফলে বর্তমানে মামলাবাজ সাগরির বিরুদ্ধে ভয়ে আর কেউ প্রতিবাদ করে না। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যা ইচ্ছে তাই করে অসহায় গরিব মানুষদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যে ও বানোয়াট মামলা দিয়ে বিপদে ফেলে পরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিমাংসা করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় আব্দুল সাত্তার সরদার, আক্তার হোসেন, শামসুল আলম এবং ভুট্রু রহমান এ প্রতিবেদককে জানান এ পর্যন্ত উক্ত মামলাবাজ ও চরিত্রহীন সাগরির মিথ্যে মামলা ফাঁদে ফেলে চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকার তিন যুবককে সাগরি একের এক বিয়ে করতে বাধ্য করে। পরে কিছুদিন ঘর সংসার না করতে মোট অংকের টাকা নিয়ে তালাক দিয়েছে। গত ২৮/৩/২০১৮ইং তারিখ চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকার সোহেল নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যে মামলা করেন। যার মামলা নং ১০৯/১৮, ৬/৮/২০১৮ইং তারিখ আবারো সোহেলের নামে আরেকটি মামলা করেন যার নং ২৮৯/১৮, চাপাইনবাবগঞ্জ সদর এলাকার কাজেম আলী নামে আরেক ব্যাক্তির নামে ৭/৭/২০১৯ইং মামলা করেন যার নং ১৯৮/১৯, গত ০১/০২/২০১৯ইং তারিখ একই গ্রামের আনিসসহ কয়েকজনকে আসামী করে মিথ্যে মামলা করেন। ০৫/১২/২০১৯ইং তারিখ নিজ গ্রামের আনিস সরদার, মাসুদ সরদার এবং জাহাঙ্গীর আলম নামেরি তনজন ব্যাক্তির নামে মোহনপুর থানায় মিথ্যে জিডি করেন এবং থানা পুলিশ পরে জিডিটি কোর্টে পাঠায়। এভাবে আরো অনেক ব্যাক্তিকে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তাই উপরোক্ত বিষয়টি সঠিক তদন্ত পূর্বক উক্ত মামলাবাজ মহিলার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় গ্রহণ করে এলাকার নিরহ ও অসহায় মানুষদের রক্ষার দাবী জানিয়েছে এলাকারবাসি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সাগরি খাতুনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।