ক্যাম্পাসে ছাত্রীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান

ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হলেও আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। বিকেল থেকেই শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরে রিমার বন্ধুরা এসে জড়ো হন মুক্তমঞ্চে। হলুদের সাজে সাজানো হয় মুক্তমঞ্চটি। তৈরি করা হয় কনের আসন। চিরায়ত গায়ে হলুদের মতোই হলুদ, মেহেদি, মিষ্টান্ন, ফলমূল সবকিছুরই আয়োজন ছিল এতে।
হলুদে রিমার বন্ধুরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এর বাইরেও অনেকেই কনেকে হলুদ দিয়ে শুভ কামনা জানিয়েছেন।
ভিন্নধর্মী আয়োজন নিয়ে রিমার বান্ধবী বীথি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শীতকালীন বন্ধ ও নানা কারণে অনেকের পক্ষেই রিমার বাড়ি যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই সবাই মিলে বান্ধবীর বিয়েতে মজা করার জন্য এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের চিন্তা মাথায় আসে। আমরা সব বন্ধু-বান্ধবী মিলে এই আয়োজন করেছি।’
এই ব্যতিক্রমী আয়োজনে অংশ নেয়া রিমার আরেক বান্ধবী মারজাহান আক্তার বলেন, ‘ক্যাম্পাস জীবন শেষে কে কোথায় থাকব সেটা বলা যাচ্ছে না। কারও বিয়েতে যাওয়ার সৌভাগ্য হবে কিনা ঠিক নেই। তাই বান্ধবীর গায়ে হলুদের দিনটাকে স্মরণীয় করার চেষ্টা করা আরকি। সব মিলিয়ে অনেক ভালো লাগছে।’
কনে রিমার কণ্ঠেও ছিল উচ্ছ্বাস। তিনি বলেন, ‘নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। অনেক ক্যাম্পাসেই দেখি হলুদের অনুষ্ঠান হয়। এর আগে আমাদের ক্যাম্পাসে এমনটি হয়নি। আমার ক্যাম্পাসে আমারই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে কখনও ভাবিনি। আমি অনেক আনন্দিত। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’