ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামে বন্ধ জুয়ার আসর


২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:০০

ছবি সংগৃহীত

রাজধানীজুড়ে যুবলীগ নেতাদের ক্যাসিনোগুলোতে একের পর এক অভিযানের মাঝেই গতকাল চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো একটি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে চট্টগ্রামে সচল কোনো ক্যাসিনো নেই। তবে প্রতিদিনই চট্টগ্রাম নগরের অভিজাত ক্লাবগুলোতে বসে জুয়ার আসর। অভিযান শুরুর পর সে আসর গুটিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে জুয়ারীরা।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, চট্টগ্রামে বর্তমানে সচল কোনো ক্যাসিনো নেই। কিছুদিন আগে নগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ প্লাজায় একটি ক্যাসিনো থাকলেও সেটি আগে থেকেই বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এরপরও অনুমোদিত যেসব বার ও ক্লাবে অবৈধভাবে জুয়ার আসর বসে সেখানে অভিযান শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালি থানার আলমাস সিনেমা হলের পাশে ‘হ্যাঙ আউট পুল এন্ড স্নোকার ক্লাব’ নামে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালানো হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গোলাম রসুল বাবু। তিনি নগরের চট্টলা পরিবহন নামে একটি বাস কোম্পানির মালিক। আটক করা হয়েছে গোলাম রসুলের ছেলে মো. খালেকুজ্জামান (৩০) ও কর্মচারী মো. রবিউল হোসেনকে (২৫)।

অভিযোগ রয়েছে, নগরের আবাহনী, মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, ওয়াজিউল্লাহ ইনস্টিটিউট, ফ্রেন্ডস ক্লাব, আকবর শাহ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ক্লাবসহ বিভিন্ন পাড়ায় মহল্লায় গড়ে উঠা সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্লাবগুলোতেও জুয়ার আসর বসে নিয়মিত। জুয়ার পাশাপাশি এসব ক্লাবে চলে নেশাজাতীয় দ্রব্যের বিকিকিনি ও অসামাজিক কার্যকলাপ।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে নগরের বিভিন্ন ক্লাব ও বারে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তের পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন চট্টগ্রামে জুয়ার আসর পরিচালনায় জড়িত প্রভাবশালীরা।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন সবগুলো বার ও ক্লাবে জুয়ার আসর বন্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এর নেপথ্যে যত বড় প্রভাবশালী থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। চট্টগ্রামে এধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না।