গাইবান্ধায় বানভাসী মানষের জন্য বিভিন্ন সংগঠণের ত্রাণ তৎপরতা

গাইবান্ধা জেলার বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষদের সহায়তা দিতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বেসরকারি সংগঠন এগিয়ে এসেছে।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে,সরকারি ত্রাণ সহায়তা বাবদ এ পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকায় ৯শ’ ৫০ মে. টন চাল এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।এছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে বন্যা দুর্গত পরিবারগুলোর জন্য আরও ১ হাজার মে. টন চাল ও ১০ লাখ টাকা এবং ১০ হাজার কার্টুন শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
এদিকে জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপির উদ্যোগে ও পৌর আওয়ামী লীগের সহায়তায় শনিবার থেকে গাইবান্ধা শহরে বন্যা কবলিত মানুষের খাদ্য সহায়তা হিসেবে রুটি বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছে।পানিবন্দী লোকদের মধ্যে এ খাদ্য বিতরণ সহায়তা ততদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে যতদিন পর্যন্ত তারা বন্যার পানি থেকে মুক্ত হতে না পারছে। এজন্য জেলা পাবলিক লাইব্রেরীতে রুটি তৈরী করার জন্য মহিলা আওয়ামী লীগসহ আওয়ামী লীগের মহিলা কর্মীরা এবং স্বত:স্ফুর্তভাবে বিভিন্ন এলাকার নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই রুটি তৈরীর কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছে।
এদিকে গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র এ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলনের পক্ষ থেকে পৌর এলাকার বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত পরিবারগুলোর মধ্যে দুবেলা খাদ্য বাবদ তৈরী খাবার খিচুরি ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও জরুরী ভিত্তিতে ওষুধ,স্যালাইন ও সরবরাহ করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিত ১ হাজার বানভাসী পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি এসব ত্রাণ বিতরণ করেন।
অপরদিকে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী
মো.আব্দুল মান্নান মিয়া। গাইবান্ধা জেলা রোভার স্কাউটসের উদ্যোগে এবং সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় গাইবান্ধার বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন ও জরুরী ওষুধ সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।