ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৫ই মে ২০২৫, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ


২০ জুলাই ২০১৯ ০২:১৯

নানা আয়োজনে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যক হুমায়ূন আহমেদের ৭ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে গাজীপুরে নুহাশপল্লীতে ভক্ত ও পরিবারের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং এতিমদের খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়।

এছাড়া বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রকাশকরাও লিচু তলায় হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তবে এবার লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার দুই পুত্র সন্তান নিষাদ ও নিনিদ বিদেশে থাকায় শুক্রবারের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি।

এদিন সকালে নিহতের ভাই-বোন, শ্বশুর এবং ভক্তরা কবর জিয়ারত ও কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ১০টার দিকে হুমায়ূন আহমদের শ্বশুর প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী ও নুহাশপল্লীর কর্মচারীরা কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং হুমায়ূনের কবর জিয়ারত করেন।

পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রয়াত লেখকের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট এবং মাসিক উন্মাদের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আহসান হাবীব, তার স্ত্রী আফরোজা আমিন, প্রয়াত লেখকের বোন সুফিয়া হায়দার ও রোকসানা আহমেদ, অন্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী মো. মাজহারুল ইসলাম, আগামী প্রকাশনীর ওসমান গনি, অভিনেতা সৈয়দ হাসান সোহেলসহ অন্যরা লেখকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এছাড়া অন্যান্য সংসগঠনের পক্ষ থেকেও লেখককে স্মরণ করা হয়।

প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ছোটভাই আহসান হাবিব প্রকাশক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি হুমায়ূন আহমেদের লেখাগুলো নির্ভুলভাবে প্রকাশের অনুরোধ করেন। তাছাড়া হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে পারিবারিকভাবে একটি মিউজিয়াম স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। তাকে নিয়ে একটি আর্কাইভ নির্মাণ করা হয়েছে। অনেকে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গবেষণা করছেন। এ আর্কাইভ গবেষণা কাজে সহায়তা করবে।

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জনপ্রিয় এই লেখক। পরে ২৪ জুলাই গাজীপুরের নুহাশ পল্লীর লিচুগাছ তলায় প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ দাফন করা হয়। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।


নতুনসময়/এমএন