ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৫ই মে ২০২৫, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


খুলনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের মার‌পিট, আহত ৪


১৬ জুলাই ২০১৯ ০৪:২৪

কয়রা উপজেলার উত্তর বেদাকাশী ইউনিয়নের অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মারধোরের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় ৪ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এদেরমধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেননি বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।

হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, রোববার সন্ধ্যায় তারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে বসে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এসময় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের নব্য সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু দুলাভাই কয়রা থানা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ কাজলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অর্তকিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। সেখানে উপস্থিত উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি আশিকুজ্জামান রাহাত, যুগ্ম-আহবায়ক শাহিন, সদস্য ইমরান ও যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়রা উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি আশিকুজ্জামান রাহাতকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরপরই বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। হামলায় ছাত্রলীগের কার্যালয়টিতে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এদিকে এ ঘটনার পর দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লা‌বে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আহত ছাত্রলীগ ও যুবলী‌গের নেতাকর্মীরা। লিখিত বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন, কয়রায় বিএনপির কতিপয় সন্ত্রাসীরা নব্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মুখোশ পড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কয়রা উত্তর বেতকাশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরদার মতিউর রহমানের ছেলে হলেন কয়রা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ। আর তারই শ্যালক হলেন ছাত্রলীগ কয়রা থানার নব্য সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু। ফলে আত্মীয়স্বজন মিলে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ নিয়ন্ত্রন করছে। এলাকার নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করেই চলেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর কয়রা উত্তর বেতকাশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরদার মতিউর রহমানের নেতৃত্বে যে নির্যার্তন নিপিড়ন হয়েছে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে। ২০০১ সালের ৬ অক্টোবর কয়রা উত্তর বেতকাশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরদার মতিউর রহমানের নেতৃত্বে প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বাবু বিধান চন্দ্র অধিকারী ও শিপপদ অধিকারীর উপরও এমন হামলা ও নির্যাতন চালায় মতিউর রহমান। আর এখন নিজ শ্যালককে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপিড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা এর বিচার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, কয়রা থানার নব্য সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজাওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সাথে ছবি তুলে তা এলাকায় দেখিয়ে শরিফুল ইসলাম টিংকু ব্যাপক চাঁদাবাজী শুরু করেছে। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ৮৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার এসব কর্মকান্ডে কয়রার ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা তার বিপক্ষে অভিযোগও দিয়েছেন। এছাড়া ছাত্র না হয়েও ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ন পদ পাওয়ায় এলাকায় বির্তকের জন্ম দিয়েছে। এ পর্যন্ত শরিফুল ইসলাম টিংকুর নামে থানায় ৮টি জিডি হয়েছে। কাজেই এই সমন্ত্রাসী চাদাবাজের কাছে কয়রা থানা ছাত্রলীগ নিরাপদ নয়। তারা শরিফুল ইসলাম টিংকুর বহিস্কারসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার দাবি করেন।