ঢাকা সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


ঢামেকে চিকিৎসাধীন কয়েদির মৃত্যু


১০ জুলাই ২০১৯ ০৭:১৫

ঢামেক হাসপাতালে সম্রাট সালাউদ্দিন (৩২) নামে এক কারাবন্দীর (কয়েদি) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্বজনদের অভিযোগ, কারা কর্তৃপক্ষ ও ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ১ টায় অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে কারারক্ষীরা সম্রাটকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন, চিকিৎসকরা তাকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রাখেন। সেখানে চিকিৎসাধীন মঙ্গলবার বিকাল ৫ টা ২ মিনিটে মৃত ঘোষনা করেন।

মৃতের বড় ভাই মোঃ বাদশা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সম্রাট ও তার আরেক ভাই নবাব সহ কেরানীগঞ্জের একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজায় কারাগারে প্রায় ১৪ মাস বন্দী ছিল, গত ৪ জুলাই সম্রাটকে অসুস্থ অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করান কারারক্ষীরা, সেখানে চিকিৎসকরা তাকে দু'দিন ভর্তি রেখে ৬ জুলাই ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েন, এবং নির্দেশনা দেন, কিছু পরিক্ষা নিরীক্ষার, সেগুলো করিয়ে দু'দিন পর পুনরায় বর্হিরবিভাগে দেখানোর। কিন্তু সে সময় কারারক্ষী ইউনুস সব পরিক্ষা নিরীক্ষা না করিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যান।
এরপর গত সোমবার দিবাগত রাতে তাকে আবারো হাসপাতালে নিয়ে আসেন, পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

তিনি বলেন, কারারক্ষীরা যদি পরিক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে সঠিক সময় চিকিৎসকদের দেখাতেন, তাহলে আজ সে মারা যেতো না। অপর দিকে তিনি আরো বলেন, ৬ তারিখ যে রোগীটিকে তারা ছাড়পত্র দিয়ে দিলেন, ৯ তারিখ রোগীটা মারা গেলো। এমন রোগীকে কেন তারা ছাড়পত্র দিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, এখানে চিকিৎসক ও কারারক্ষীদের অবহেলা ছিল। আর তাদের কারনেই আজ আমার ভাই মারা গেছেন। আমি এর বিচার চাই।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান সম্রাটের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা নামাবাড়ী এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে সম্রাট।

সম্রাট প্লেন সিটের ব্যাবসা করতেন। ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে সম্রাট ছিল ৪র্থ। এক ছেলে এক মেয়ের জনক ছিল সম্রাট।