ঢাকা সোমবার, ৫ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


নির্বাচনের পর লন্ডন মিশনে কামাল-ফখরুল


৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৫৭

বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পর এবার লন্ডন সফরে যাচ্ছেন গণফোরামের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। সূত্র বলছে, সেখানে মির্জা ফখরুল, ড. কামাল হেসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আমীর খসরু মাহমুদ চৈীধুরী ও আব্দুল আওয়াল মিন্টু তারেক রহমানের সাথে বৈঠক করবেন।

একাধিক সূত্র বলছে, তারেক রহমানের কাছে পরামর্শ নিতে নয় বরং তাদের মূল উদ্যেশ্য তারেক রহমানকে আপাতত রাজনীতি থেকে দূরে রাখা। নির্বাচনের পর ভোট জালিয়াতির ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ করে বিভিন্ন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অভিযোগ দেয় বিএনপি। একইসাথে এই নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করারও দাবি জানায় দলটি।

তবে বেশ কয়েকটি কারণে আন্তর্জাতিক মহল বিএনপির এই আবেদনে সাড়া দেয়নি। এছাড়াও ২০ দলীয় জোটে জামায়ত ও বিএনপিতে তারেককে নিয়ে অনেকেই নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন বাণিজ্যের যে অভিযোগ উঠেছে তার সবগুলো অভিযোগ সরাসরি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উঠেছে। এতোদিন সবাই তারেক রহমানকে জিয়া পরিবারের উত্তরসূরী ও বিএনপির জনপ্রিয় নেতা মনে করতো। কিন্তু তারাই এখন মনে করছে তারেক রহমান আর্থিক ফয়দা ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না। তারা মনে করেন তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি পরিচালিত হলে এই দলের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে যাবে। এই মহলও আপাতত তারেক রহমানকে সরে দারাতে চাপ সৃষ্টি করছে।

কিন্তু তারেক রহমান এ প্রস্তাবে কোনোভাবেই রাজী হচ্ছেন না। তিনি কোনোভাবেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে রাজী হচ্ছেন না। মূলত এ বিষয়ে কথা বলতেই প্রথমে মির্জা ফখরুল লন্ডনে গিয়েছেন। পরে ড. কামালও যাচ্ছেন।


দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, তারা তারকে রহমানকে বোঝাবেন সে যেন আপাতত রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ায়। তারেক যদি এ প্রস্তাবে রাজী হন তাহলে এতে বিএনপির কী কী সুবিধা হতে পারে এসব বিষয়েও ব্যাখ্যা দেবেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারেক রহমান এ প্রস্তাবে মানেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।